মহানগর ডেস্ক: মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী তখন তাঁর কথা বলে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে। হঠাৎই ছন্দপতন! এক মহিলা প্রার্থী জিজ্ঞেস করে উঠলেন শিক্ষকদের নিয়োগে এত দেরি হচ্ছে কেন। মহিলার প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারালেন মহারাষ্ট্রের শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেশরকর। ধমক দিয়ে উঠলেন মহিলাকে। মহিলাকে ধমক দেওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পরই সেটি ভাইরাল হয়। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের বিদ শহরের। সোমবার কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে আলোচনা করছিলেন মন্ত্রী। সেখানেই ঘটনাটি ঘটে। মন্ত্রী কেশরকর একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা দলের। পরে জানান তিনি এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কারণ আলোচনার সময় ওই মহিলা শৃঙ্খলা অনুসরণ করেননি।
ভিডিওয় শোনা গিয়েছে সরকারি চাকরিপ্রার্থী মহিলা মন্ত্রীকে চাকরিতে দেরি হওয়া নিয়ে জিজ্ঞেস করছেন। তাঁকে বলতে শোনা যায় অপেক্ষা করতে করতে তাঁরা ক্লান্ত। ওই মহিলাকে বলতে শোনা যায় চাকরি নিয়ে কোনও বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি। তার আগে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন সমস্ত জেলাকেই বিজ্ঞাপন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীর কথার মাঝেই ওই মহিলা আবার কথা বলে ওঠেন। তখনই মেজাজ হারান মন্ত্রী। রেগে গিয়ে বলেন, এভাবে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কথা বললেন তিনি সরকারি চাকরি পাবেন না। মন্ত্রী বলেন তিনি যেমন স্নেহশীল, তেমনই কড়া ধাতের। তাঁর কাছে ছাত্র-ছাত্রীরা গুরুত্বপূর্ণ, আর তাঁরা অর্থাৎ চাকরিপ্রার্থীরা তাদের চাকরি নিয়ে বেশি ভাবছেন। সেজন্য তিনি তিরিশ হাজার চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু চাকরি প্রার্থীরা যদি এ ধরণের শৃঙ্খলাহীন আচরণ পড়ুয়াদের শেখান, তাহলে সেটা তিনি মেনে নেবেন না। এরপরও ওই মহিলা কথা চালিয়ে গেলে মন্ত্রী বলেন, এমন করলে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। এই ব্যাপারে কড়া সমালোচনা করেন এনসিপির সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের উচিত এমন মন্ত্রীদের শাসন করা। মন্ত্রীর ওই মহিলার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।