মহানগর ডেস্ক: শেষমেষ আলোয় ফিরলো শ্রমিকের দল।রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার অবসান ঘটলো ১৭ দিন পর। ৩৮০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে টানেলের মধ্যে ফেঁসে থাকা ৪১ শ্রমিক অবশেষে মুক্ত হলেন।উত্তরকাশীর সিল্কইয়ারা টানেল থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ মিলল বিরাট সুখবর। উদ্ধারকারীদের জানকবুল লড়াইয়ে এল সাফল্য।পরিবারের সদস্যরা উৎকণ্ঠা শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন।
ধীরে ধীরে উদ্ধার হলেন ৪১ জন শ্রমিক। চিনুক হেলিকপ্টার তৈরি রাখা হয়েছে উত্তরাখণ্ডের চিন্যালিসাউর এয়ারস্ট্রিপে।চিকিৎসার জন্য শ্রমিকদের এয়ারলিফ্ট করে নিয়ে যাওয়া হবে।অ্যাম্বুল্যান্স, পর্যাপ্ত মেডিক্যাল সরঞ্জামও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।চিকিৎসকদের টিম রয়েছে সুড়ঙ্গের মুখেই।বেলা দেড়টার পর থেকেই তৎপরতা বেড়ে যায় সিল্কইয়ারা টানেলের মুখে।ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় একের পর এক অ্যাম্বুল্যান্স।পৌঁছে যান চিকিৎসকরা।পাশাপাশি,সুড়ঙ্গের মুখে অক্সিজেন এবং স্ট্রেচার নিয়ে পৌঁছে যান তারা।এই প্রসঙ্গে উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, টানেলের ভিতর উদ্ধারকাজের প্রাক মুহূর্ত পর্যন্ত সুস্থ ছিলেন শ্রমিকরা।
তাঁরা সুড়ঙ্গের মধ্যে ক্রিকেটও খেলেছেন। ১৭ দিন ধরে অন্ধকূপের মধ্যে আটকে থাকায় তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য যাতে বিঘ্নিত না হয়, তার জন্য লাগাতার প্রচেষ্টা চালিয়েছে প্রশাসন। বোর্ড গেমের ব্যবস্থা করা হয়। BSNL-এর পক্ষ থেকে ল্যান্ডলাইন চালু করা হয় যাতে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলতে পারেন। তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় গরম খাবার।