মহানগর ডেস্ক: উনআশি বছরের রুমমেটকে খুন করে সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপ করতে নিজের গোটা শরীরে মাউন্টেন ডিউয়ে ভিজিয়ে দিয়েছিল নিকোলে মাক্স নামে পঁয়ত্রিশ বছরের এক মহিলা। এমনভাবে নিজের শরীরে মাউন্টেন ডিউ ঢেলেছিল, যাতে কোনও ধরণের ফরেনসিক প্রমাণ না পাওয়া যায়। নিউ ইয়র্ক পোস্টের খবর অনুযায়ী, পঁয়ত্রিশ বছরের মহিলাকে তাঁর বৃদ্ধা রুম মেটকে বেধড়ক মারধরে করে ছুরি চালিয়ে নিজের বাড়ির ঘরে দুজনে থাকতো, সেখানে নৃশংসভাবে খুন করে। তদন্তকারীরা জানান খুনের পর সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপের জন্য নিকোলে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। তারপর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা সেখানে এলে দেখতে পান একজন মাটিতে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তার মাথার পেছনে প্রচণ্ড আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। দেহে একাধিক ছুরির আঘাত দেখতে পান তদন্তকারীরা।
আদালতে হলফনামায় তদন্তকারীরা একথা জানিয়েছেন। পুলিশকে মৃতার বাড়িওলা জানিয়েছেন মাক্স তাঁর একজন ভাড়াটে ছিল। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে পুলিশ মৃতার দেহের পাশে রক্তমাখা ছুরি ও দুটি সেলফোন পায়। দেওয়ালে রক্ত ছিটকে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরপর পুলিশ কিছুটা হেঁটেই খুনি মহিলার সন্ধান পায়। কাছাকাছি একটি রেস্তোরাঁর সামনেই তার দেখা মেলে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তাদের পায়ে একটি ছুরি ও হাতুড়ি ছুড়ে ফেলে। জেরায় অবশ্য মাক্স জানায় সে মৃত বৃদ্ধাকে চেনে না। তার কোনও বাড়িঘর নেই। এরপর পুলিশের জেরায় সে নানা বিভ্রান্তিমূলক কথা বললে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। তাকে জানানো হয় তাদের কাছে পরোয়ানা রয়েছে। এরপর মাক্স পুলিশকে ডায়েট মাউন্টেন ডিউ কিনে দিতে বলে। তা খাওয়ার সময় সে অনেক সময় নষ্ট করে। বিরক্ত হয়ে পুলিশ তাকে ধরার চেষ্টা করলে মাক্স আচমকাই নিজের গায়ে ও চুলে ডায়েট সোডা ঢেলে দেয়। পরে মৃতার শরীরের পাশে পড়ে থাকা ছুরির হাতল থেকে ডিএনএ পাওয়া যায়। তাকে ভোলুসিয়া কাউন্টি জেলে বন্ড ছাড়াই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী পাঁচই সেপ্টেম্বর মাক্সকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে ডায়েট মাউন্টন ডিউয়ে থাকা সাধারণ কৃত্রিম সুইটনার বা অন্য ধরণের সোডা ডিএনএ-র জেনেরিক উপকরণ নষ্ট করে দিতে পারে।