কলকাতা: যাদবপুরের হস্টেলে মদ গাঁজা খাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। তাই বলে গাঁজার চাষ? পড়ুয়া মৃত্যুর পর তদন্তের গতি যত এগিয়েছে ততই এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। হস্টেলে থাকা আবাসিকদের মধ্যে কেউ চাইছেন, এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ হোক। আবার কেউ বলছেন, দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে সেখানে তাদের অধিকার আছে মদ গাঁজা সেবনের। এবার তদন্ত করতে গিয়ে এমন তথ্য সামনে এলো, যা শুনে রীতিমতো হতভম্ভ সকলেই। মেইন হস্টেলের এ২ ব্লকে নাকি গাঁজার চাষ হতো! ধৃত ছাত্রদের মোবাইল ফোন থেকেই মিলেছে সেই সব ছবি। এমনই অভিযোগ পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, হস্টেলের এ-টু ব্লকের বারান্দায় টবে গাঁজা চাষ হত। বারন্দায় যে টবগুলি রয়েছে সেখানেই নাকি হতো গাঁজার চাষ। গাঁজা চাষের ছবি তুলে রেখেছিল অভিযুক্তরা। অভিযোগ, যদিও ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর সেই সমস্ত ছবি ডিলিট করে দেওয়া হয় ফোন থেকে। সমস্ত তথ্য প্রমাণ লোপাট করতেই মরিয়া চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। যদিও তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ মেইন হস্টেলে কোনো গাঁজার সন্ধান পায়নি। ধৃত ছাত্রদের মোবাইল ঘেঁটে ডেটা রিকভারি করেই শেষ পর্যন্ত গাঁজা চাষের তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে।
আরও পড়ুন: গরম থেকে মুক্তি দেবে স্বস্তির বৃষ্টি, বৃহস্পতিবার থেকেই হাওয়া বদল তিলোত্তমায়
এদিন মঙ্গলবার ১০৪ নম্বর ঘরের ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে পুলিশ। ঠিক তার পরের দিন কমিটির ৪ জনকে ডাকা হয়। সাথে তৃতীয় বর্ষের ৩ জন পড়ুয়াকেও ডাকা হয়। তদন্ত করতে গিয়ে একটি whatsapp গ্রুপের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। জেইউ এমএইচ নামের ওই whatsapp গ্রুপটি বেশ পুরনো বলে দাবি পুলিশের। ওই গ্রুপে সৌরভের খুব কাছের লোকজনও অ্যাড ছিল বলে মনে করছে পুলিশ। সরকার পক্ষের আইনজীবী ধৃত অঙ্ক বিভাগের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকেই গোটা ঘটনার ‘কিংপিন’ বলে আদালতে দাবি করেছেন।
ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার দিনেই ওই গ্রুপ ডিলিট করে দেওয়া হয়। সদস্য সংখ্যা খুব কমই ছিল ওই হোয়াটস্যাপ গ্রুপে। ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনার দিনেই জিবি বৈঠকে ওই গ্রুপটিতে ডিলিট করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। অপরাধীর অপরাধ ঢাকতে এই whatsapp গ্রুপকে ব্যবহার করা হতো বলেই মনে করা হচ্ছে। যাদবপুর হস্টেলে গাঁজা চাষের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।