মহানগর ডেস্ক: ডিএ আন্দোলন শুরু হয়েছিল জানুয়ারি থেকে। তাঁবু খাটিয়ে শহিদ মিনারের পাদদেশে চলেছিল দীর্ঘ অনশন। সরকারি কর্মীরা বছরের শুরুর মাসগুলিতে পরপর কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন। তবে তাতে বেরিয়ে আসেনি কোনও সমাধানসূত্র। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সদস্যরা এই আবহে দিল্লিতে গিয়েও আন্দোলন করে এসেছিলেন।তবে তাতেও টলেনি রাজ্য সরকার।সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা এই আবহে পুজোর আগে নতুন করে বাড়াতে চলেছেন আন্দোলনের ঝাঁঝ।
যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ মঙ্গল এবং বুধবার অর্থাৎ ১০ এবং ১১ অক্টোবর কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। তবে এই কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে ডিএ সহ আরও তিনটি দাবিতে। আন্দোলনকারীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ ছাড়াও দাবি – ১)স্বচ্ছ ও স্থায়ী নিয়োগ করতে হবে রাজ্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদে, ২)অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে প্রতিহিংসামূলক বদলি, ৩)স্থায়ী পদে নিয়োগ করতে হবে যোগ্য অস্থায়ী কর্মচারীদের।
উল্লেখ্য,যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সদস্যরা ২৫ সেপ্টেম্বর এই চার দাবি জানিয়েই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসেকর সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে দেখা করেছিলেন। নিজেদের যাবতীয় দাবি লিখিত আকারে সিভি আনন্দ বোসের কাছে জমা দিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। পরে ২৭ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মীরা এই দু’দিনের কর্মবিরতির কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ ভাস্কর ঘোষ এবং যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সদস্য এই কর্মবিরতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘পুজোর সময় কেন্দ্রীয় সরকার আরও এক দফায় ডিএ বৃদ্ধি করার কথা ভাবছে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র পার্থক্য বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৪০ শতাংশ। সেই ডিএ-র দাবিতেই আমরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি।’