কলকাতা: যাদবপুরের তৃণমূলের নবনিযু্ক্ত সভাপতি হলেন রাজন্যা হালদার। এ বছর ২১ শে জুলাই তৃণমূলর শহিদ দিবসের মঞ্চে উঠে আসা তৃণমূলের এই নতুন মুখের ওপরেই ভরসা রাখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে ‘নির্যাতন’-এর মুখে পড়তে হয়েছিল রাজন্যা হালদারকে। এমনকি তাঁর জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। যাদবপুরের মাটি দখলের লড়াইতে নতুন ইউনিটে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া দেওয়া হয়েছে সোনারপুরের এই তৃণমূল নেত্রীকে। দলীয় সংগঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ছাত্রমৃত্যুর বিচার তাঁর কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানিয়েছেন রাজন্যা হালদার। যাদবপুরকাণ্ডে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আর এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ইউনিট ঘোষণা করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শুক্রবার রাতে বৈঠকে বসে তৃণমূল কংগ্রেস। যাদবপুরে কীভাবে ইউনিট তৈরি করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূলের সহ-সভাপতি রাজন্যা হালদারকে।
দলীয় সংগঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ছাত্রমৃত্যুর বিচার রাজন্যার কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানিয়েছেন তৃণমূলের যুবনেত্রী। এই বিষয়ে রাজন্যা হালদার জানান, “দল ভরসা রেখেছে, যাদবপুরে বাম ও অতিবাম দৌরাত্ম বন্ধ করতে হবে। ছাত্রের মৃত্যুর বিচার চাই।” বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের পর্যবেক্ষক সঞ্জীব প্রামাণিককে চেয়ারপার্সনের দায়িত্ত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজন্যার কাঁধে এত বড় দায়িত্ব দেওয়াকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।