কলকাতা: যাদবপুর হত্যাকাণ্ডে (JU Murder Case) ধরপাকড় এখনও অব্যাহত। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ধৃতদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয় জনে। শুধু তাই নয় আরও একাধিক পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। মামলা থেকে চিঠিচাপাটি বাদ নেই কিছুই। এহেন পরিস্থিতিতে যাদবপুর-কাণ্ডে ডিন ও রেজিস্ট্রারকে তলক করা হল। আজই যাদবপুর থানায় তাদের হাজিরা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্টস ও রেজিস্ট্রারকে যাদবপুর থানায় তলপ করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে (JU Murder Case) এখনও পর্যন্ত অনেকগুলো বিষয়ে উত্তর অধরা রয়েছে। কেন হস্টেলে সিসিটিভি ছিল না? কর্তৃপক্ষ কি কোনওদিন সিসিটিভি লাগাতে চেয়েছিল? কারা বাধা দিয়েছিল? প্রাক্তন ছাত্ররা কীভাবে হস্টেলে থাকার অনুমতি পেল? এই সব প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানতে চায় পুলিশ। সেই কারণেই যাদবপুর-কাণ্ডে ডিন ও রেজিস্ট্রারকে আজই যাদবপুর থানায় তাদের হাজিরা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্য দিকে, ছাত্র-মৃত্যুর (JU Murder Case) ঘটনায় গ্রেফতার বুধবারই আরও ছয়জনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের মধ্যে তিনজন প্রাক্তন পড়ুয়াও রয়েছেন। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে এদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এদের সরাসরি যোগ রয়েছে। ওই ঘটনার পরেই হোস্টেল ছেড়েছিলেন এই ৬ জন পড়ুয়া। অবশেষে গতকাল রাতে তাদের বাড়ি গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম মহম্মদ আরিফ (১৮), সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। মহম্মদ আশিফ আফজল আনসারি (২২), ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের পড়ুায়া। অঙ্কন সরকার (২০), সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। এছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন অসিত সর্দার নামে একজন প্রাক্তন পড়ুয়া। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি ছাত্র-মৃত্যু তদন্ত নেমে, পুলিশ জানতে পারে যে, মেন হস্টেলে অন্তত ২০ জন প্রাক্তনী থাকতেন। কিন্তু পাস আউট হওয়ার পরেও ছাত্ররা কীভাবে হস্টেলে থাকছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় গতকাল রাতে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন পুলিশ পড়ুয়াদের বয়ান রেকর্ড করে। জানা গিয়েছে, ধৃত আরিফ সহ বাকিদের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে। তবে আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। ফলে যাদবপুর হত্যাকাণ্ডে (JU Murder Case) গ্রেফতারি সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে যাদবপুরের ঘটনায় সর্ব প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিলেন সৌরভ চৌধুরীকে। তারপরে গ্রেফতার করা হয় দীপশেখর দত্ত (১৯), মনোতোষ ঘোষ (২০) নামের দুই পড়ুয়াকে। এই কয়েকজন ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির নজরে রয়েছেন গৌরব দাস ও অরিত্র মজুমদার নামের দুই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া।