মহানগর ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই ময়দানে প্রচারে নেমে পড়েছে তৃণমূল, বিজেপি ও বাম শিবির। অপরদিকে শুরু হয়েছে এক দল থেকে অন্য দলে যাওয়ার প্রতযোগিতাও। ২০২৪ এর নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের নজরে রয়েছে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার ৫টি লোকসভা আসন। এই ৫ সংসদীয় আসনের মধ্যে তৃণমূলের হাতে রয়েছে ৩টি লোকসভা ও বিজেপির হাতে রয়েছে ২টি।
ভোটপূর্বে এই ৫ লোকসভা আসন রাজনৈতিক ভাবে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ঘাসফুল শিবির। বাম আমলে ২০০৭ সাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় রাজনৈতিক ভাবে সফল হতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে। এরপর ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেখানে ভোটের ঝুলি বেশ ভারি হয় তৃণমূল কংগ্রেসের । নন্দীগ্রাম আন্দোলনের পর থেকে কার্যত তৃণমূলের রাজনৈতিক চেহারা বদলে গিয়েছে অনেকটাই। তবে, গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামের আসন হারলেও দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে ভাল ফল করেছিল তৃণমূল। অপরদিকে অধিকারী পরিবারের দুই সদস্যই বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের দুই সাংসদই তৃণমূল কংগ্রেসের। যেই অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের রাজনৈতিক দূরত্ব এখন অনেকটাই।
রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই মতে পূর্ব মেদিনীপুর এখন প্রেস্টিজ ফাইটের ক্ষেত্রে ভীষণ গুরুত্বপুর্ন। তাই এখন নির্বাচনকে সামনে রেখে এক প্রকার কোমর বেঁধেই ভোট মঞ্চে নামতে চলেছে তৃণমূল। অন্যদিকে মেদিনীপুর আসন বিজেপির দিলীপ ঘোষের দখলে হলেও ঘাটালের আসন ধরে রেখেছেন তৃণমূলে সাংসদ দেব।
ঝাড়গ্রাম নিয়েও জনপ্রতিনিধিরা বিশেষ করে পুর এলাকায় দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের উদাসীনতা নিয়েও করা বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর রাজনৈতিক ভাবেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সকলে।