মহানগর ডেস্ক: পৃথিবীর পৃষ্ঠের নীচে টেকটোনিক প্লেটের চলাচল একটি মৌলিক ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া। যা ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি এবং পর্বত গঠনকে চালিত করে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় টেকটোনিক প্লেট সম্পর্কে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সাম্প্রতিক রিসার্চ গুলো তাৎপর্যপূর্ণ। বড়ো আকারের ফাটলের আবিষ্কার করা হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেটের সামুদ্রিক তলদেশে প্লেট টেকটোনিক্সের পূর্ববর্তী ধারণা পাওয়া যায়। এই নতুন অন্তর্দৃষ্টি পরামর্শ দেয় যে টেকটোনিক প্লেটগুলি, এমনকি মহাসাগরীয় অঞ্চলেও, “টেবিল থেকে টেবিলের কাপড় টেনে নেওয়ার” মতো যথেষ্ট নড়াচড়া করতে পারে। প্রভাবগুলি ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপের বাইরে প্রসারিত হয়, সম্ভাব্যভাবে পৃথিবীর ভূতত্ত্ব এবং এর গতিশীল প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের বোঝার পুনর্নির্ধারণ করে।
earthquake
মহানগর ডেস্ক: বুধবার সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান । ৩০ মিনিটের মধ্যে পর পর দু’বার কম্পন অনুভূত হয় ।প্রথম কম্পনের উৎসস্থল আফগানিস্তানের ফয়জাবাদ এলাকা থেকে ১০০ কিলোমিটার পূর্বে। এই কম্পনের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৪.৪। এমনটাই জানা গিয়েছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে।
আফগানিস্তানের মাটি প্রথম কম্পনের ঠিক আধ ঘণ্টার মধ্যেই দ্বিতীয় বার কেঁপে ওঠে। তীয় কম্পন অনুভূত হয় রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে জানা গিয়েছে,দ্বিতীয় কম্পনের তীব্রতা ৪.৮। ফয়জাবাদ থেকে ১২৬ কিলোমিটার পূর্ব দিকে দ্বিতীয় কম্পনের উৎসস্থল।পর পর দু’বার কম্পনের পরে কোনও খবর পাওয়া যায়নি হতাহতের।
আফগানিস্তানে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ভূমিকম্প হয়েছিল। এই কম্পনের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ছিল ৫.২। প্রবল ভূমিকম্প এবং শক্তিশালী ভূকম্প পরবর্তী কম্পনে গত বছর অক্টোবর মাসে আফগানিস্তান কেঁপে উঠেছিল। এই কম্পনের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ছিল ৬.৩। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছিলেন ভূমিকম্পের ফলে। আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের ফলে দু’দশক আগে দু’হাজার জন মারা গিয়েছিলেন।
মহানগর ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পের শিকার জাপান। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৮ জনের। পরপর জোরালো ভূমিকম্পে সোমবার কেঁপে ওঠে জাপান।কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭.৬। জারি হয় সুনামি সতর্কতা, বাড়তে থাকে জলস্তর। ১৫৫ বার কম্পন অনুভূত হয় ১ জানুয়ারি। রিখটার স্কেলে তীব্রাতর প্রতিটি ছিল ৭.৬ ও ৬। দ্বীপরাষ্ট্রে ১৫৫টিরও বেশি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে সোমবার থেকে। এমনটাই জানা গিয়েছে জাপানের আবহাওয়া অফিস সূত্রে। রয়েছে সুনামি সতর্কতাও। এই ভূমিকম্পে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আছড়ে পড়েছে পাঁচ ফুটের মতো উঁচু ঢেউ। প্রধান মহাসড়ক সহ বন্ধ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রুট সারা দেশে। যার ফলে সেনা সদস্যদের উদ্ধার, চিকিৎসা সেবা ও এবং পরিষেবার সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পাশাপাশি,রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে,বিদ্যুৎহীন ৩৩ হাজার পরিবার। এই ভূমিকম্প ইশিকাওয়া ও আশপাশের প্রিফেকটারে আঘাত হেনেছে।জাপান মেটিওরোলজিক্যাল এজেন্সি এমনটাই জানিয়েছে। জানা গিয়েছে এর মধ্যে একটি কম্পনের মাত্রা ৭.৪। জাপানের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা হোকুরিকু ইলেকট্রিক পাওয়ারের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঠিকঠাক রয়েছে সবকিছু।
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের, দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর যত দ্রুত সম্ভব এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্তত এক হাজার মানুষ এরই মধ্যে, আশ্রয় নিয়েছেন সেনা ছাউনিতে।এই প্রসঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, ‘এখন ভীষণ ঠান্ডা। জল, খাবার, কম্বল, গরম তেল, গ্যাসোলিন, জ্বালানির মতো অত্যন্ত জরুরি পণ্য হয় বিমান বা জাহাজে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’ ত্রাণ পাঠানোর কাজ চলছে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে। তবে আপাতত, বুলেট ট্রেন এবং বিমান-পরিষেবা বন্ধ ভূমিকম্পে-বিধ্বস্ত এলাকায়। বেশ কিছু হাইওয়েও বন্ধ। পাশাপাশি, বিপর্যয়ের ফলে ধ্বংস স্তূপ এর নিচে আটকে থাকা মানুষদেরও চলছে উদ্ধার কাজ।যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিত মঙ্গলবার সকাল থেকে চলছে সেই কাজ।
মহানগর ডেস্ক: ৯০ মিনিটে পরপর ২১ বার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান। আজ সকালে মধ্য জাপানে একটি শক্তিশালী ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পরে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। তখনই কর্তৃপক্ষ লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছিল।
ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের ওয়াজিমা শহরে ১.২ মিটার উচ্চতার সুনামি আসার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল। জাপানে ভারতীয় দূতাবাস ভূমিকম্প এবং সুনামির সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একটি জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছিল। জাপানের ইন্ডিয়া অফিস সাহায্যের জন্য জরুরি নম্বর এবং ইমেল আইডি জারি করেছিল। যাদের সহায়তা প্রয়োজন তাদের জন্য দূতাবাস পাঁচটি নম্বর এবং দুটি ইমেল আইডি জারি করেছিল। ভারতীয় কর্মকর্তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন এবং স্থানীয় সরকারের জারি করা সমস্ত নির্দেশাবলী অনুসরণ করার জন্য লোকদের অনুরোধ করেছেন। জাপান মেট্রোলজিক্যাল এজেন্সি (জেএমএ) জানিয়েছে, জাপানের প্রধান দ্বীপ হোনশুর পাশে জাপান সাগরের নোটো অঞ্চলে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ০৬ মিনিটে ৫.৭ মাত্রার কম্পন শুরু হয়।এর পরে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প, বিকেল ৪টা ১৮ মিনিটে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প, বিকেল ৪টা ২৩ মিনিটে ৪.৫ মাত্রার একটি, বিকেল ৪টা ২৯ মিনিটে ৪.৬ মাত্রার ভূমিকম্প এবং বিকেল ৪টা ২৯ মিনিটে ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। বিকাল ৪:৩২।
এর পরপরই ৬.২ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি সম্প্রচারকদের বিশেষ প্রোগ্রামিং-এ স্যুইচ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের উচ্চ ভূমিতে চলে যাওয়ার জন্য জরুরি আহ্বান জানিয়েছিল।২০১১ সালের মার্চ মাসে উত্তর-পূর্ব জাপানে সমুদ্রের নিচে একটি বিশাল ৯.০-মাত্রার ভূমিকম্পের স্মৃতি দ্বারা জাপান আচ্ছন্ন, যা একটি সুনামির সূত্রপাত করেছিল যার ফলে প্রায় ১৮,৫০০ মানুষ মারা গিয়েছিল বা নিখোঁজ হয়েছিল৷২০১১ সালের সুনামি ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রে তিনটি চুল্লিকে গলিয়ে দেয়, যার ফলে জাপানের যুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে খারাপ বিপর্যয় এবং চেরনোবিলের পর সবচেয়ে গুরুতর পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটে।। ২০২২ সালের মার্চ মাসে, ফুকুশিমা উপকূলে একটি ৭.৪-মাত্রার ভূমিকম্প পূর্ব জাপানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে কেঁপে ওঠে, এতে তিনজন নিহত হয়।
জাপানে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা জারি, বন্ধ করা হল বুলেট ট্রেন
মহানগর ডেস্ক: নতুন বছরেই বিপত্তি। সোমবার দুপুরে উত্তর-মধ্য জাপানে ৭.৬ মাত্রার প্রাথমিক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর পরেই, জাপানের আবহাওয়া সংস্থা ইশিকাওয়া, নিগাতা এবং তোয়ামা উপকূলীয় অঞ্চলে সুনামির সতর্কতা জারি করেছে। বন্ধ করা হয়েছে জাপানের জনপ্রিয় বুলেট ট্রেন। এলাকাজুড়ে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
জাপান সাগরে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সোমবার সুনামি সতর্কতা জারি করেছে৷ জাপান মেটিওরোলজিক্যাল এজেন্সি ইশিকাওয়া এবং আশেপাশের অঞ্চলে ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে। । এরপরই জাপানের আবহাওয়া দফতরে উত্তর-পশ্চিম উপকূলে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে ইশিকাওয়ার উপকূলে সমুদ্রের ঢেউ ৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। সাধারন মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। তাই জোট তাড়াতাড়ি সম্ভব নিছু এলাকা থেকে মানুষের সুরক্ষিত জায়গায় চলে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন যে তিনি সরকারকে ভূমিকম্প এবং সুনামি সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা প্রদানের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র জাপানে ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার কিছু অংশে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে। সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “আমরা বুঝতে পারি আপনাদের বাড়ি, আপনার জিনিসপত্র সবই আপনাদের কাছে মূল্যবান, কিন্তু আপনার জীবন সবকিছুর থেকে গুরুত্বপূর্ণ। ”
মহানগর ডেস্ক: শুক্রবার ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, মণিপুরের উখরুল থেকে ২০৮ কিলোমিটার দূরে মায়ানমারে ৪.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
রাত ১০টার দিকে ১২০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্প হয়েছে।একই দিনে মায়ানমারে এটি দ্বিতীয় ভূমিকম্প। এর আগে দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে অসমের ডিব্রুগড় থেকে ২২৬ কিলোমিটার দূরে ৩.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।ভারতের সিসমিক জোন ম্যাপ অনুযায়ী মণিপুর একটি উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ সিসমিক জোনে (জোন V) অবস্থিত। জোন ৫ হল সেই অঞ্চল যেখানে সবচেয়ে তীব্র ভূমিকম্প হয়, যেখানে সবচেয়ে কম তীব্র ভূমিকম্প হয় জোন 2 এ।
ভূতাত্ত্বিক গঠন এবং ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এই অঞ্চলে মাঝে মাঝে কম্পন হয়।সেপ্টেম্বরে উখরুল থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে ৫.১ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।
মহানগর ডেস্ক: দিল্লি, নেপালের পর ফের কেঁপে উঠল কাশ্মীর, লাদাখ। সোমবার লাদাখের কার্গিলে রিখটার স্কেল অনুযায়ী ভূমিকম্পের কম্পনের মাত্রা ছিলেন ৫.৫। শুধু কার্গিলে নয়, কার্গিলের পাশাপাশি এদিন কম্পন অনুভূত হয়েছে উত্তর ভারত এবং পাকিস্তানের কিছু অংশেও।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, বিকেল ৩টা ৪৮ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৫.৫ মাত্রার কম্পনটি হয়েছিল। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি অনুসারে, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে। কম্পন অনুভূত হয়েছে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ এবং এর আশেপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায়। এদিকে পাকিস্তানে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.০। শুধু তাই নয়, সোমবার বিকেলে চণ্ডীগড় এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও মৃদু ভূমিকম্প হয়েছে। যার ফলজ লোকেরা তাঁদের বাড়ি থেকে নিরাপদে বেরিয়ে আসে। কার্গিলে ৫.৫ রিখটার স্কেলের ভূমিকম্পের কারণে চণ্ডীগড়ের কিছু অংশে কম্পন অনুভূত হয়েছিল।
বিকেল ৩.৪৮.৫৩ মিনিটে ভূমিকম্প হয়।ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি বলছে, “ভূমিকম্পের মাত্রা: ৫.৫, ১৮-১২-২০২৩ তারিখে, ৩.৪৮ মিনিট, ল্যাট: 33.41 & দীর্ঘ: 76.70, গভীরতা: ১০ কিমি, অঞ্চল: কার্গিল লাদাখ, ভারত। প্রায় ১২ মিনিট পরে ৪.০১ মিনিটে কার্গিলে 3.8 মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা: 3.8, সংঘটিত ১৮-১২-২০২৩, ৪. ০১ মিনিট নাগাদ IST, ল্যাট: 33.34 & দীর্ঘ: 76.78, গভীরতা: 10 কিমি, অঞ্চল: কার্গিল, লাদাখ।”প্রায় ১৭ মিনিট পর কিশতওয়ারে আরেকটি আফটারশক আঘাত হানে।
মহানগর ডেস্ক: কলকাতা থেকে শুরু করে শিলিগুড়ি মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল শনিবার সকাল সকাল। শুধু রাজধানী নয়, কম্পন অনুভূত হয়েছে পড়শি বাংলাদেশেও। এদিন সকাল ৯টা বেজে ৫ মিনিটে অনুভূত হয় কম্পন। এমনটাই জানা গিয়েছে,ন্যাশানাল সেন্টার ফর সিসমোলজির দেওয়া তথ্যতে।৫.৬ ছিল রিখটার স্কেলে এর মাত্রা। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-উত্তরদক্ষিণে এর উৎসস্থল।আর কলকাতা থেকে শুরু করে শিলিগুড়ি এরই আফটার শকে কেঁপে উঠেছে।
কম্পনের তীব্রতা কলকাতা এবং শিলিগুড়িতে এতটাই মৃদু ছিল যে তা অনুভূত হয়নি।বুঝতেও পারেনি অনেকে। সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, সিকিমও কেঁপে উঠেছে।যদিও, এখনও পর্যন্ত এই কম্পনের ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতি সামনে আসেনি।তবে,বিশেষজ্ঞরা মাটির নীচে বিপদ বাড়ার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, কলকাতা এবং হাওড়া এই দুটি শহরকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ সায়েন্টিফিক রির্সাচ। সেখানেই বলা হচ্ছে, ফাঁপা হয়ে যাচ্ছে এই দুই শহরের মাটির নীচের একটি অংশ। আশঙ্কাও করা হচ্ছে,সেই কারণেই এই দুইটি শহর যে কোনও মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে একসময়।