মহানগর ডেস্কঃ পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া টাই কি সব? জীবনের কোনো মূল্য নেই? তরুণের কাণ্ডে হতবাক পরিবার পরিজন। পরীক্ষা দিতে যেতে ১৫মিনিট দেরি হয়ে যাওয়ায়,পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি এক ১৭বছরের ছাত্রকে, সেই দুঃখে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তরুণ। আত্মহত্যা করার আগে একটা সুইসাইড নোটও লিখে যায় তার বাবার জন্য। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার তেলঙ্গানার আদিলাবাদ জেলার মাঙ্গরুলা গ্রামে ঘটেছে।
এই দিন সকাল ৯টা থেকে তরুণের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী নির্দেশ দেওয়া ছিল, কোনও পরীক্ষার্থী এক মিনিটও দেরি করে এলে, তাকে আর পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা। দুর্ভাগ্য বসত এই সপ্তাহের বৃহস্পতিবার , এই ১৭ বছরের তরুণ পরীক্ষাকেন্দ্রে ১৫ মিনিট দেরিতে পৌঁছেছিল, তার জন্য পরীক্ষা দিতে পারেনি ছাত্র। পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে ৩০মিনিট অপেক্ষা করে, তারপরও ছাত্র কে পরীক্ষায় যখন বসতে দেওয়া হলো না, ছাত্র পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে সাড়ে ৯টা নাগাদ হতাশার সহিত বেরিয়ে যায় । তারপরই বাড়ি ফেরার পথে খালে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে ছাত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যখন ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে, তখন ছাত্রের কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। এর পাশাপাশি একটি ঘড়ি এবং টাকার ব্যাগও পেয়েছে পুলিশ। সুইসাইড নোটে তরুণের হতাশার ছাপ পাওয়া গেছে,এই নোটে সে তার বাবাকে কিছু কথা লিখে গেছে।
চিঠিতে বাবার কাছে ক্ষমা চেয়ে গেছে ১৭ বছরের তরুণ এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। ক্ষমা চেয়ে ছেলে বাবাকে জানিয়েগেছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে ১৫ মিনিট দেরি হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারেনি তরুণ।
ঘটনার পর তরুণের পরিবারে শোকের ছায়া ঘনিয়ে এসেছে। পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাদের ছেলেকে খুইয়ে। এক প্রতিবেশি বলেন, “পরীক্ষা জীবনের সব কিছু নয়। পরিক্ষায় ভালোমন্দ ফলাফল লেগেই থাকবে,পরের বছরও পরীক্ষা দিতে পারতো।এরম ভাবে নিজের জীবন শেষ করা ভুল সিদ্ধান্ত।”
এখনও এই ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে তেলঙ্গানা পুলিশ।