মহানগর ডেস্ক : প্রশাসনের কাছে খবর নেই, সন্দেশখালিতে শনিবার পৌঁছে গেলেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। টোটোয় করে তিনি সন্দেশখালির গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন। কথা বলছেন গ্রামের মানুষের সঙ্গে। রাজ্য পুলিশের দক্ষতা নিয়ে মীনাক্ষীর এই সন্দেশখালি পৌঁছে যাওয়া প্রশ্ন তুলে দিল! শনিবার একটা সাদা ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকে সন্দেশখালিতে ঢোকার মুখে দুঁদে পুলিশ কর্তাদের এক কথায় ঘোল খাইয়ে দিলেন মীনাক্ষী।
ডিওয়াইএফআই-র রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এই সাদা ওড়নায় মুখ ঢেকে শনিবার ফেরিঘাটে পুলিশের কড়া নজর এড়িয়ে নৌকায় চেপে চলে যান ওপারে। সিপিএমের দাবি পুলিশ তাঁকে চিনতেই পারেনি। মীনাক্ষী সন্দেশখালিতে পা দেওয়ার আগেই সিপিএমের পতাকা উড়েছে সেখানে। হিসেব বলছে ২০১১ সালের পর সন্দেশখালির মাটিতে ২০২৪ এর ২৪ ফেব্রুয়ারি আবার সিপিএমের পতাকা উড়ল। সিপিএম পতাকা উড়ছে জেলিয়াখালি, দুর্গামণ্ডপ, খুলনা-সহ একাধিক এলাকায়।
সিপিএম-এর দীর্ঘদিনের অভিযোগ, রাজ্যে পরিবর্তনের পর সন্দেশখালিতে মিটিং-মিছিল তো দূরের কথা, দলের পতাকাও তুললে বাম কর্মীদের আক্রমণ করত শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা। এবার সন্দেশখালির জনতার আন্দোলনের হাত ধরেই শনিবার বদলে গেল সন্দেশখালির ছবি, উড়ল সিপিএমের পতাকা। এর আগে সন্দেশখালিতে ঢোকার সময় পুলিশি বাধার মুখে পড়েন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কনীনিকা ঘোষ সহ বাম নেতৃত্ব। তবে এবার পুলিশের নজর এড়িয়ে কৌশলে সন্দেশখালি পৌঁছলেন মীনাক্ষী।