মহানগর ডেস্ক : সরকারকে সাতদিন সময় বেধে দিলেন এসএসসি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের প্রতিনিধিরা। হয় চাকরির নিয়োগ, না হয়, অষ্টম দিন থেকে শুরু হবে আত্মহত্যা। এমনই বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রসঙ্গত, সোমবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএসসি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের প্রতিনিধিরা। ২০১৬-এর এসএলএসটির নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে এদিন উপস্থিত ছিলেন সুদীপ মণ্ডল, মহিদুল ইসলাম, কৈলাশ লেট, সাথী কর্মকার ও রাজর্ষি দাস।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, তারা প্রত্যেক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তবেই মেধা তালিকাভু্ত হয়েছেন। তারপর থেকে হয়নি নিয়োগ। মেলেনি চাকরি।১১০০ দিন ধরে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।ভোট এলেই শাসক দলের তরফে সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতি আসছে। ভোট মিটলে সেই একই অবস্থা। তাই জীবন আর রাখবেন না। আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন সাংবাদিক বৈঠক থেকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, আশ্বাস দিলেও সমস্যার হয়নি সুরাহা। এতদিন চুপ থাকলেও এবার তাই জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন চাকরি প্রার্থীরা। এদিকে ব্রাত্য বসুর সাফ কথা, জীবন শেষ করে দেওয়াটা আন্দোলনের পরিপন্থী হতে পারে না।রাজ্য সরকার দেড় বছর ধরে তাঁদের কথা শুনে এসেছে। আদালতের হস্তক্ষেপেই জট খুলবে বলে আশাবাদী সরকার। আন্দোলনকারীদের সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করার আেদন জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।