মহানগর ডেস্ক: একজন পাকিস্তানি নাগরিক, অন্যজন ভারতীয়। সাতাত্তরতম স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন প্রেমের টানে ভারতে লুকিয়ে চুরিয়ে আসা সেই সীমা হায়দার (Pakistani Seema Haider Hoists Indian Flag) ভারতের জাতীয় পতাকা তুললেন। গত মে মাসে ভারতীয় স্বামী শচীন মিনার সঙ্গে ঘর বাঁধতে তিনি নেপাল হয়ে চোরাগোপ্তাভাবে ভারতে ঢোকেন। বাকি ঘটনা মোটামুটি সবারই জানান। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা সীমা ও শচীন হর ঘর তিরঙ্গা উৎসবে উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় রবিবার তাঁর নতুন শ্বশুরবাড়িতে আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে উৎসবে যোগ দেন। যেদিন ভারতে সীমা এদেশের সাতাত্তরতম বর্যপূর্তিতে পতাকা তুললেন, ঠিক সেদিনই পাকিস্তানে ফেসবুক বন্ধু নাসারুল্লার সঙ্গে দেখা করতে সে দেশে যাওয়া অঞ্জু তুললেন পাকিস্তানের পতাকা। চৌদ্দ আগস্ট সেদেশের স্বাধীনতা দিবস। তাঁর পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে একটি অনুষ্ঠানে ফেসবুক বন্ধু নাসারুল্লার সঙ্গে কেক কাটার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে।
সীমা যেমন প্রেমের টানে ভারতে সন্তানদের নিয়ে চলে এসেছিলেন, তেমনই চৌত্রিশ বছরের ভারতীয় মহিলা অঞ্জু তাঁর ফেসবুক বন্ধু নাসারুল্লার সঙ্গে আইনিভাবেই সেদেশের খাইবার পাখতুনখোয়ায় গিয়েছিলেন। অঞ্জুর জন্ম হয় উত্তরপ্রদেশের কেইলর গ্রামে। তিনি থাকতেন রাজস্থানের আলোয়ারে। ২০১৯ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে অঞ্জু খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের দির জেলায় গিয়ে সেখানে নাসারুল্লার সঙ্গে দেখা করেন। এক স্থানীয় পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন তাঁরা মিডিয়ায় খবর পড়ে জানতে পারেন অঞ্জু এখানে এসেছে। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক ভারতের বিদেশমন্ত্রককে অঞ্জুর সেদেশে তিরিশ দিনের ভিসা মঞ্জুর করার কথা জানিয়েছে।