মহানগর ডেস্ক: খবরটা শুনে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। সালটা ছিল ২০২০। বিশ্বনবীকে অমর্যাদা করার জন্য ফ্রান্সে ইতিহাস শিক্ষকের গলা উড়িয়ে দিয়েছিল ছ জন পড়ুয়া! স্যামুয়েল প্যাটি নামে ইতিহাসের শিক্ষকের শিরোশ্ছদে সবাই যেন মূক হয়ে গিয়েছিল। সেই নারকীয় ঘটনায় ছজন কিশোর-কিশোরীকে দোষী সাব্যস্ত করল সে দেশের আদালত।
নৃশংস ঘটনার সূত্রপাত বাক স্বাধীনতা নিয়ে ক্লাসে। সেখানে ইতিহাসের শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি বিশ্বনবী হজরত মহম্মদকে কেমন দেখতে ছিল,তার বর্ণনা করতে গিয়ে ব্যঙ্গ করেছিলেন। তাতে কিছু মুসলিম ছাত্রের অভিভাবক ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন। অধিকাংশ মুসলিম হজরত নিয়ে বিশদ বর্ণনা পছন্দ করেন না। তাঁদের কাছে ব্যাপারটা অশ্লীলতা ছাড়া কিছু নয়।
শিক্ষকের শিরোশ্ছদ কাণ্ডের বিচার হওয়া পড়ুয়াদের মধ্যে এক কিশোরী তার পরিবারকে জানিয়েছিল হজরত মহম্মদকে নিয়ে ব্যঙ্গ করার আগে শিক্ষক মুসলিম পড়ুয়াদের ক্লাসরুম ছেড়ে যে বলেছিলেন। বিচার চলাকালীন আদালত ঘটনাটি নিয়ে কিশোরী মিথ্যে কথা বলেছিল বলে জানতে পারে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ ও দুর্নাম করার জন্য মন্তব্যের কারণে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। কারণ ঘটনার সময় ওই কিশোরী ক্লাসে ছিল না। সে কারণে ওই কিশোরীকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
বাকিরা পূর্ব পরিকল্পিত অপরাধ ষড়যন্ত্রে শামিল ছিল এবং গোপনে শিক্ষককে আক্রমণে সহায়তা করেছিল বলে আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়। স্কুলের বাইরে প্যারিসে শহরতলিতে চেচেন বংশোদ্ভূত আঠেরো বছরের এক তরুণ ওই শিক্ষককে খুন করে। হামলার পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় হত্যাকারী। এক কিশোরকে আদালত কঠিনতম সাজা হিসেবে ছ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। তবে বৈদ্যুতিন ক্যামেরার নজরদারিতে বাড়িতে থেকে কারাদণ্ড ভোগ করে। ওই কিশোরীকে আঠেরো মাসের সাদা দেয় আদালত।