মহানগর ডেস্ক: এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া অচল দুনিয়া (Social Media)। তা আমেরিকা হোক বা ইউরোপ, এশিয়া হোক বা আফ্রিকা-সর্বত্রই জাল ছড়িয়ে আছে সোশ্যাল মিডিয়ার। ফেসবুক,ইউটিউব,ইনস্টাগ্রাম-সামাজিক মাধ্যমে রীতিমতো ঝড় তুলে চলেছে। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমের ভালো দিক যেমন আছে,তেমনই খারাপ দিকও আছে (Ex-Facebook Staff On Social Media)। আর এর ক্ষতিকর প্রভাবের কথা এখন সবাই জানেন। সামাজিক মাধ্যমের কুফলের দিকটি তুলে ধরে ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটার হুইসল ব্লোয়ার ফ্রান্সেস হগেন রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি সামাজিক মাধ্যমকে ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণে আনা না যায়. তাহলে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ যাবে। হগেন ২০২১ সাল পর্যন্ত ফেসবুকে চাকরি করেছেন।
সেসময় দি ফেসবুক ফাইলস নামে তথ্য ফাঁস করেছিলেন, যা দি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে গবেষণা ধর্মী রিপোর্ট এবং ফেসবুক কর্মীদের পারস্পরিক আলোচনা প্রকাশিত হয়, যাতে স্পষ্ট হয়েছিল ফেসবুক সংস্থা জানতো তাদের প্ল্যাটফর্ম মানুষের ক্ষতি করেছে। উদাহরণ হিসেবে ইনস্টাগ্রাম টিনএজারদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলার বিষয়টি চাপা দেওয়া ও ফেসবুকে ভারতে ধর্মীয় ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়ানোর দিকটি তুলে ধরা হয়েছিল। হগেন স্মৃতিকথা লিখেছেন,যাতে লিখেছেন স্বচ্ছতার অভাবে সোশ্যাল মিডিয়া এখনও ক্ষতিসাধন করে চলেছে। মেটার লাভ নিয়েও অস্বস্তিকর কথা লিখেছেন ফেসবুকের প্রাক্তন কর্মী। বলেছেন কেউই জানেন না কত বড় ফাঁক রয়েছে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম নিয়ে মেটার বক্তব্যে।
হগেন বিশ্বাস করেন বিপর্যয় রুখতে সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে ধারণাটা পাল্টাতে হবে। তাঁর আশঙ্কা, যদি সমস্যার সমাধান করা না হয়,তাহলে আগামী কুড়ি বছরের মধ্যে বহু মানুষের মৃত্যু হবেই। ২০১৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন ফেসবুকের কারণে মায়ানমারে গণহত্যা ঘটেছিল। রয়টার জানিয়েছিল একটি কিশোরীর আত্মহত্যার পর সোশ্যাল মিডিয়ার ঘাড়ে দোষ চাপানোয় ইনস্টাগ্রামের নীতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। গতমাসে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ঘটনায় মেটাকে ১.৩ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়। তবে প্রাক্তন ফেসবুক কর্মীর বক্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি মেটা।