মহানগর ডেস্ক : কয়লা পাচারকাণ্ডে ভোটের মুখে সুপ্রিম কোর্ট স্বস্তি দিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
কয়লাকাণ্ডে ইডি সমনের বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ, এই আবেদনেই মিলেছে স্বস্তি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব করতে পারবে না ইডি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী১০ জুলাই, ততোদিনে ভোটের ফল প্রকাশ হয়ে যাবে।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীর্ঘদিন ধরে কয়লা পাচার মামলায় ইডির নজরে রয়েছেন। কলকাতার পাশাপাশি দিল্লিতে একাধিকবার হাজিরাও এই জন্য তিনি দিয়েছেন। লোকসভা ভোটের কাজে এখন প্রচারের কাজে ব্যস্ত অভিষেক। ফলে এর মাঝে ইডি তলব করলে হাজিরা দেওয়ায় সমস্যা আছে। সেই কারণেই ইডি সমনের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর তরফে আদালতে আইনজীবী কপিল সিবল আর্জি জানান যে, লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন অর্থাৎ জুলাই পর্যন্ত যেন অভিষেককে যেন ইডি দিল্লিতে তলব না করে।
এদিন এই আর্জির পিছনে কপিল সিবল বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি একজন বিদায়ী সাংসদ। এবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে আবার তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পয়লা জুন ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে ভোট। বরাবর ইডির তদন্তে সহযোগিতা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ইডির নির্দেশ মত দশ বছরের আয়করের নথিও জমা দিয়েছেন। একাধিকবার তলবে সাড়া দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে মুখোমুখিও হয়েছেন। তাই আপাতত তাঁকে যেন ডাকা না হয়।
কপিল সিবলের এই আর্জির পরই সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, লোকসভা ভোট চলাকালীন অভিষেককে দিল্লিতে তলব করা যাবে না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ জুলাই। প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার মামলায় ২০২৩ সালের ২১ মার্চ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে শেষবার অভিষেককে দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল ইডির তরফে।
তবে শীর্ষ আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বস্তি পেলেও, বিরোধীরা ভোটের প্রচারে কয়লা পাচারকাণ্ডে তাঁর আদালতে স্বস্তির জন্য আবেদন করার প্রসঙ্গ টেনে তাঁকে যে অভিযুক্ত হিসাবে তুলে ধরে প্রচার চালাবে সেটা সহজেই অনুমেয়।