মহানগর ডেস্ক: গত কয়েকমাস ধরে জল্পনা চলছিল, অবশেষে সেই জল্পনার অবসান হল। কংগ্রেস ছাড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিলেন কৌস্তভ বাগচী। এতোদিন তিনি বিজেপি বিরোধী স্লোগান দিতেন সভা-সমিতিতে, বৃহস্পতিবার বিজেপি দফতরে যোগদান অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে গলা মিলিয়ে কৌস্তভ বললেন, “জয় শ্রীরাম। এইবার ৪০০ পার।” আজ থেকে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর নতুন পরিচয় বিজেপি নেতা হিসাবে।
বৃহস্পতিবার বিজেপি কার্যালয়ে গিয়ে পদ্মপতাকা হাতে তুলে নেন কৌস্তভ। বুধবারই কংগ্রেস ছাড়েন কৌস্তভ। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তিন পাতার চিঠি পাঠান তিনি। সেখানেই জানান, কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্য পদ ছাড়ছেন তিনি। কংগ্রেসি রাজনীতির সঙ্গে বহুদিন ধরেই যুক্ত কৌস্তভ। তবে ইদানিং দলের সঙ্গে তাঁর একেবারেই মানসিক মিল হচ্ছিল না। বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যেই দলের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা প্রকাশ্যে করছিলেন কৌস্তভ। এদিন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন কৌস্তভ। সুকান্ত মজুমদার কৌস্তভের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “গত ২০২১ সালে অনেকে অনেক দল থেকে বিজেপিতে এসে যোগ দিয়েছিলেন। ভোটে প্রার্থীও হয়েছিলেন কেউ কেউ। তাঁরা জিততে না পেরে, সুবিধা করতে না পেরে আবার বিজেপি ছেড়ে পালায়।”
কৌস্তভের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মুহূর্তে শুভেন্দুর এই মন্তব্য কি কৌস্তভকে মনে করিয়ে দেওয়া যে তিনি যেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসে আবার তৃণমূলে ফিরে গিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্জুন সিংরা যে নজির গড়েছেন, তা না করেন। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে বড় দলের এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় নেতাকে তৃতীয়বার আমরা আবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আনতে চলেছি।” শুভেন্দু এর পর স্লেগান দেন, “এইবার ৪০০ পার”, শুভেন্দুর এই স্লোগানে গলা মেলান কৌস্তভ বাগচী, মঙ্গলবারও যিনি কংগ্রেস ছিলেন, যদিও আজ তিনি বিজেপি। এখন প্রশ্ন একটাই, আগামী দিনে কী এই রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হতে চলেছেন কৌস্তভ?