মহানগর ডেস্ক: একদিকে মোদী, আরেকদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একেই বলে রাজনীতি। আজ সোমবার অযোধ্যায় হল রাম মন্দিরের উদ্বোধনে গোটা দেশ এখন মোদি মালা জপছে। ৫০০ বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠিত হল। আর মোদির জয়গান যাতে বাঙালিদের মুখে না ধ্বনিত হয়, তাই ২২ জানুয়ারী সংহতি মিছিল করেন।
মোদির ধর্মান্ধতার উর্ধে গিয়ে সাম্প্রদায়িক মিছিল ডাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কালীঘাটে পুজো দিয়ে হাজরা পার্ক থেকে মিছিল শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে গড়চার গুরুদ্বারে চাদর চড়িয়ে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে মিছিল করে পার্ক সার্কাসে পৌঁছন তিনি। শুধু গুরুদ্বার নয়, এর পর গির্জায় প্রার্থনা সেরে মসজিদে চাদর চড়ান তিনি। পার্ক সার্কাসের গির্জা থেকে বেরিয়ে কাছের এক মসজিদেই গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই রওনা হন সভাস্থলের উদ্দেশে। এদিন বাইকে চড়েই তিনি সভাস্থলে যান। পথে দুটি শিশু এসে তাঁর হাতে ফুল তুলে দেন। এদিন কোনও রাজনীতিককে পাশে না নিয়েই বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিদের সঙ্গে হাঁটেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গড়চার গুরুদ্বারে চাদর চড়ানোর পর স্কুটিতে চেপে মিছিলের কাছে পৌছন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পিছনের সারিতে ছিলেন অভিষেক, তৃণমূল কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী জাভেদ খান, বাবুল সুপ্রিয়, সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার, ইন্দ্রনীল সেন, শান্তনু সেন প্রমুখ।
এদিন ‘সংহতি মিছিল’-এ যোগ দিয়েছিলেন হিন্দু, মুসলিম, শিখ, বৌদ্ধ, পারসি, ইহুদি ধর্মগুরুরা। সোমবার দুপুরে কালীঘাট মন্দিরে মাকে মিষ্টি, লাল শাড়ি দিয়ে মায়ের আরাধনা, আরতি করে তাঁরা মিছিলে পৌঁছন।