মহানগর ডেস্ক: বুধবার সংসদ হামলার পিছনে মিলল বাংলার যোগ। এই খবর স্বাভাভিক ভাবেই সমস্ত মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার লোকসভায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের পর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে একমাত্র অভিযুক্ত, বিহারের ললিত ঝা। বাকি ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এই ললিতই ঘটনার ভিডিও করেছে বলে খবর। সেই ভিডিও কলকাতার একটি এনজিওর প্রতিষ্ঠাতাকে পাঠিয়েছিল। এই ভিডিও কলকাতার নীলাক্ষ আইচ নামের এক যুবককে পাঠিয়েছিল। নীলাক্ষের সঙ্গে অভিযুক্ত ললিতের যোগাযোগের মধ্যে দিয়েই বাংলা সংযুক্ত হয়েছে সংসদ হামলার পিছনে।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি এনজিও-র সঙ্গে যুক্ত এই নীলাক্ষ আইচ। কর্মকর্তারা বলেছেন যে ঝা নীলম আজাদ এবং অমল শিন্ডের ভিডিও শুট করে হলুদ এবং লাল ধোঁয়াযুক্ত ক্যানিস্টার ব্যবহার করে এবং “স্বৈরাচার” এর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন এমনকি অন্য দুই অভিযুক্ত সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি দর্শকদের গ্যালারি থেকে লোকসভার চেম্বারে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এবং ক্যানিস্টার স্থাপন করেছিলেন। এই ভিডিও জলিত ঝা কলকাতায় নীলাক্ষের কাছে পাঠায়। ললিত বাংলার এনজিও সঙ্গেও যুক্ত নীলাক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত বলেই খবর মিলেছে। এই কারণেই পুলিশ গ্রাম বাংলার একটি এনজিও-র উপরেও নজর রাখছে।
প্রসঙ্গত, এক মাস দু মাস নয়। অন্তত আঠেরো মাস ধরে পুংখানুপুঙ্খভাবে বৈঠক করে ছক কষা হয়েছিল বুধবারের সংসদ হামলার। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যের তবে সবার সঙ্গে সবার যোগ ছিল একটি জায়গায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের মিডিয়া পেজের নাম ছিল ভগত সিং ফ্যান ক্লাব। ওই সূত্রেই যোগাযোগ চলতো। এ খবর জানিয়েছে পুলিশ। ২০০১ সালের সংসদ হামলার বর্ষপূর্তিতে লোকসভায় দেখা যায় জিরো আওয়ারে সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি নামে দুই যুবককে ভিজিটর গ্যালারি থেকে লাফ দিতে দেখা যায়। দুজনই হলুদ ধোঁয়া ভরা ক্যানিস্টার দিয়ে সাংসদদের ডেস্ক টপকে লোকসভার অধ্যক্ষের দিকে এগিয়ে যায়। সেসময়ই সাংসদেরা তাদের ধরে ফেলে মারধর করেন। অন্যদিকে সংসদের বাইরে হরিয়ানার বাসিন্দা নীলম আজাদ ও মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা অমল শিন্ডে নামে দুজন ক্যানিস্টার থেকে হলুদ ও লাল ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে স্লোগান দিতে থাকেন তানাশাহি নাহি চলে গা। জানা গিয়েছে সাগর শর্মা লখউয়ের বাসিন্দা এবং মনোরঞ্জনের বাড়ি মাইশোরে। আর দুই অভিযুক্তের মধ্যে বিহারের ললিত ঝাঁ নীলম ও শিন্ডের ক্যানিস্টার থেকে হলুদ ও লাল ধোঁয়া বের করার ভিডিও তুলতে থাকে। আরেক অভিযুক্ত ভিকি শর্মার বাড়িও বিহারে।