কলকাতা: “ধর্ষকদের এনকাউন্টার” মন্তব্যের বিরোধিতা করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর। গত ২৪ শে আগস্ট বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের মতোই পশ্চিমবঙ্গেও ধর্ষকদের ‘প্রয়োজনে এনকাউন্টার করার পক্ষে মত দেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু। শুভেন্দু অধিকারীর সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করে এপিডিআর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে নালিশ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিধানসভা চত্বরের বাইরে শুভেন্দু অধিকারীর এক মন্তব্য ঘিরে আপত্তি জানিয়েছে এপিডিআর। মহিলাদের উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলে বসেন, “বর্তমান সরকারের আমলে বাংলায় খুনিদের মুক্তাঞ্চল হয়ে গিয়েছে। এদের প্রয়োজন হলে এনকাউন্টার করা উচিত বলে মনে করি।” যোগী-রাজ্যের উদাহরণও টেনে আনেন তিনি। শুভেন্দুর ওই মন্তব্য নিয়ে তীব্র আপত্তি এপিডিআর-এর।
আরও পড়ুন: যাদবপুর ক্যাম্পাস থেকে উদ্ধার প্রচুর মদের বোতল, উপাচার্য যা বললেন…
অভিযোগ করে এপিডিআর একটি ইমেইল মারফতে জানিয়েছে, “গত ২৪ অগস্ট শুভেন্দু অধিকারী ঘৃণাভাষণ দিয়েছেন। বলেছেন, অভিযুক্ত ধর্ষণকারীদের এনকাউন্টার করে মেরে ফেলা উচিত। তার এই বক্তব্যে শুধু বিচারাধীন বন্দিদেরই নয়, রাজ্যের সমস্ত মানুষের জীবনের অধিকার, বিচার পাওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিচার ব্যবস্থাকে অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশকে ও সাধারণ মানুষকে আইন হাতে নিয়ে খুন করতে প্ররোচনা দিয়েছে। এ সবই মানবাধিকার লঙ্ঘন”।
এপিডিআর-এর সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শূর রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যকে একটি চিঠি দিয়ে লেখেন, “শুভেন্দু অধিকারী প্রভাবশালী নেতা। তাঁর বক্তব্যের একটি সামাজিক অভিঘাত আছে। ফলে তাঁর এই বক্তব্যে খুবই খারাপ প্রভাব পড়বে সমাজে”। তাঁর আবেদন, “এক জন এমএলএ হিসাবে তিনি (শুভেন্দু) আইন প্রস্তুতকারক। তাঁর এই বক্তব্য তাই আইনসভার প্রতিও অশ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে। আইন প্রস্তুতকারক হিসাবে আইনব্যবস্থাকে নস্যাৎ করার জন্য তার আরও বেশি সাজা হওয়া উচিত। বিচারাধীন হাজার হাজার বিচারাধীন বন্দিও তাঁর এই বক্তব্যে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জীবন কাটাবে। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে রাজ্যবাসীর মানবাধিকার রক্ষায় আপনি উপযুক্ত পদক্ষেপ নিন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা”।