কলকাতা: সেনাবাহিনীর সাজ পোশাকে হঠাৎ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হানা একদল যুবক যুবতীর। “এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি”র বাহিনী বলে নিজেদের পরিচয় দেয় তাঁরা। বিশ্ব শান্তি সেনা বলে নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাঁরা বলে, দেশের যেখানেই ঝামেলা হয় সেখানে পৌঁছে শান্তির আবহ তৈরি করাই হলো তাঁদের কাজ। সেনার পোশাকে কেন তারা? এই প্রশ্ন উঠতেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবার নতুন যোগসূত্র খুঁজছে।
হঠাৎ করেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সেনাবাহিনীর পোশাকে সজ্জিত একদল যুবক যুবতীর আগমনের বিষয়ে মামলা রুজু করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। রেজিস্ট্রার ও ডিন অফ আর্টসকে ইতিমধ্যেই তলব করার পাশাপাশি, নিজেকে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি বলে দাবি করা কাজী সাদেক হুসেনকেও ডাকা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের দাবি, হিউম্যান রাইটস সোসাইটির লেটার প্যাডে চিফ প্যাট্রন ও সেন্ট্রাল অ্যাডভাইজার হিসেবে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন: চন্দ্রযান ৩-এর মুন ল্যান্ডিং স্পটের নাম শিবশক্তি! বললেন নমো
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের যাদবপুর ইউনিটের চেয়ারপার্সন সঞ্জীব প্রামানিক বলেন, “বুধবার এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির পক্ষ থেকে কিছু যুবক-যুবতী ভারতীয় সেনার নকল পোশাক পরে ক্যাম্পাসে ঢোকে। তাঁরা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি স্থাপন করতে এসেছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যেই আমরা সূত্র মারফত ওই সংগঠনের যে প্যাড আমরা পেয়েছি সেখানে চিফ অ্যাডভাইজার হিসাবে লেখা রয়েছে সিপিআইএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের নাম। আমাদের আশঙ্কা, বিকাশবাবু কী তাহলে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত? এসব বজরং দল, শান্তিরক্ষা বাহিনী তো বিজেপি করে থাকে। তাহলে কী বিজেপি আর সিপিএম কী যাদবপুরে আঁতাত করেছে? আমাদের দাবি, যে তদন্ত চলছে সেখানে যেন বিকাশবাবুকে জেরা করা হয়।”
এদিকে সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, “আমি তো এটা প্রথম জানলাম। প্যাডের কথাও প্রথম শুনলাম। এটা দেখে তো আমি অবাক। আমার নাম বিভিন্ন লোক বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করছে, টাকা তুলছে, মানবাধিকার সংগঠনের লোক বলছে! আমি বিস্মৃত পুরো ব্যাপরে। কী করব বলুন। আমি তো আর সবার পিছনে দৌড়ে বেড়াতে পারব না। আমি খুব একটা পাত্তা দিই না এসব ব্যাপারে। তবে এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর পিছনে চক্রান্ত আছে বলে মনে হয়। আর আমি চাই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ লালবাজার ধরে ব্যাপক তদন্ত করুক। তদন্তটা করে রিপোর্টটা জনসমক্ষে দিয়ে দিক।”