মহানগর: বেঙ্গালুরু মুম্বাইয়ের পর এবার বিরোধী জোটের বৈঠক হতে পারে এই বাংলায়। চারিদিকে এখন এমনই জল্পনা চলছে। কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূলকে এবার হয়তো একই মঞ্চে দেখা যেতে চলেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। মোদীকে রুখতে যতই ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেস থাকুক না কেন, বাংলায় কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে ছাড়ছেন না প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি।
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে তবে কি লড়াই করবেন অধীর? এবার এই নিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়ে দিলেন তিনি নিজেই। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধীর চৌধুরী বলেন, “মানুষের রায় নিয়ে কোনও ঔদ্ধত্য দেখাতে চাই না। যদি দল দাঁড় করায় বহরমপুরের মানুষের কাছে ভোট ভিক্ষা করব। হ্যাঁ কংগ্রেস কর্মী হিসেবে আমি তো চাইবই বহরমপুর থেকে দাঁড়াতে।”
আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা, আগামীকাল থেকে বদল আসবে আবহাওয়াতে
একদিকে ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেসের উপস্থিতি যেখানে তৃণমূলও রয়েছে। অন্যদিকে আবার রাজ্যে কংগ্রেস আর তৃণমূলের মধ্যে সপে নেউলে সম্পর্ক। তবে কি ধর্মসংকটে পড়েছেন অধীর চৌধুরী? যদিও ধর্ম সংকট নেই বলে জানিয়ে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখার বার্তা দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বাংলায় কংগ্রেসের সবচেয়ে দাপুটে নেতা হলেন অধীর চৌধুরী। কিন্তু তাঁর প্পর দলের দায়িত্ব কে তুলে নেবে নিজের কাঁধে? সেক্ষেত্রে উত্তরাধিকার স্টাইলে নয় বরং দায়িত্ববান মানুষের হাতেই দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে বলে জানান অধীর।
এরাজ্যে বিরোধী ভোট ভাগ হওয়া মানেই মমতার লাভ। কিন্তু এবার আর সেই সুযোগ মিলবে না। বরং ত্রিমুখী লড়াইয়ে নামবেন বলে জানিয়ে দেন অধীর। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে আশাবাদী তিনি। যদিও লোকসভা থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করা নিয়ে কিছুই বলতে চাননি অধীর চৌধুরী। কোনদিন কি মুখ্যমন্ত্রী হতে ইচ্ছে করে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর? এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “এখন যেমন দেখছেন তেমনই আছি। মনে তো অনেক ইচ্ছাই থাকতে পারে। সেসব আপনাকে বলতে যাব কেন?”