মহানগর ডেস্ক : ফের বিজেপি প্রতিনিধি দলকে আটকানো হল সন্দেশখালি যাওয়ার পথে। শুক্রবার সন্দেশখালিতে পৌঁছোয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। একই সঙ্গে সন্দেশখালি পরিদর্শনের কথা ছিল বিজেপির মহিলা প্রতিনিধি দলের। কিন্তু সন্দেশখালি যাওয়ার আগেই এবার প্রশাসনের বাধার মুখে পড়লেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
এছাড়াও ছিলেন প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল, ফাল্গুনী পাত্ররা। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, এই কারণ দেখিয়ে পুলিশ তদের আটকায়। এরপরই দুপক্ষের বাক-বিতন্ডা শুরু হয়ে যায়। ক্রমে ঝাঁঝ বাড়তে থাকে। উত্তপ্ত হতে থাকে পরিস্থিতি। ভোজেরহাটে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ৭ সদস্যের বিজেপির মহিল প্রতিনিধি দলকে আটকানোকে কেন্দ্র করে। পুলিশ আটক করে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। সেখান থেকে সোজা লালবাজারে লকেটকে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। এর আগেও একাধিকবার বিজেপি নেতৃত্বকে আটকানো হয়েছে সন্দেশখালি যাওয়া থেকে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই সুকান্ত মজুমদারকে বিক্ষোভ-অবস্থান থেকে টেনে হিঁচড়ে তুলে বোটে তোলে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। এই নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। রাতে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত ও বিজেপির কয়েকজন প্রতিনিধি। এরপর শুক্রবার ফের বাধার মুখে বিজপির মহিলা প্রতিনিধি দল। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় সন্দেশখালির বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। বৃহস্পতিবার ঝুপখালির পর শুক্কারবার কাছারি। শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে ভুরিভুরি অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। শুক্রবার সিরাজউদ্দিনের ভেড়ির আলাঘরে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। সিরাজউদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে জোর জুলুম, মারধর, আবাস ও জবকার্ডের টাকা আত্মসাতের মতো গুচ্ছগুচ্ছ বিস্ফোরক অভিযোগ রয়েছে বাসিন্দাদের।