মহানগর ডেস্ক: মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে টাকার বিনিময়ে তৈরি হচ্ছে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র. প্রতিবন্ধী শংসাপত্র মিলবে আটশো টাকার বিনিময়ে। কিন্তু শরিফা বিবি নামে এক মহিলা অতটা দিতে রাজি ছিলেন না।বড় জোড় তিনি পাঁচশো টাকা দিতে পারবেন। বুধবার খাস বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভেতরে এই নিয়েই দর কষাকষি চলছিল।হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের কর্মীরা ব্যাপারটি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে দিয়ে শাহজাহান শেখ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে।
শাহজাহানের বিরুদ্ধে জন্ম, মৃত্যু ও প্রতিবন্ধী শংসাপত্র বের করে দেওয়ার নামে রোগীর পরিজনদের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।শরিফা বিবি এদিন বিকেলে মঙ্গলকোট থানার কাশেমনগরের বাসিন্দা শাহজাহানের নামে বর্ধমান থানায় দায়ের করেন অভিযোগও।মঙ্গলকোটের মাধপুরের বাসিন্দা সুফিয়া রহমান বলেন, ‘প্রতিবন্ধী শংসাপত্র করে দেওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছিলেন শাহজাহান। এখনও সেই শংসাপত্র হাতে পাইনি। টাকাও দেয়নি।’
আরও দু’জন ব্যক্তি এসে এই ঘটনার পর সরাসরি টাকার বিনিময়ে শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ তোলেন শাহজাহান শেখের নামে।আমিরুল শেখ নামে আর এক ব্যক্তির অভিযোগ, ‘জন্ম শংসাপত্রের জন্য আমার কাছ থেকে শাহজাহান ১ হাজার টাকা নিয়েছিলেন মাস তিনেক আগে। শংসাপত্র তো দেয়নি, ফেরত পাইনি টাকাও।’ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষের এই ঘটনা প্রসঙ্গে বক্তব্য, ‘এদিন সকালে পুলিশ ক্যাম্পের কর্মীরা এক ব্যক্তিকে আটক করে বর্ধমান থানায় পাঠিয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন সার্টিফিকেট দেওয়ার নামে ওই ব্যক্তি একাধিকবার আর্থিক প্রতারণা করেছে। আমিও খোঁজখবর নিচ্ছি। সত্যতা প্রমাণ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানিয়েছি পুলিশকে।’