মহানগর ডেস্ক: স্ত্রী কন্যাকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন এক প্রাক্তন সেনাকর্মী। দমদম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জীবন ধর রোডের ঘটনা। শুক্রবার এই ভয়াবহ ঘটনা সামনে এসেছে। ওই এলাকারই এক বহুতল ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে থাকতেন প্রাক্তন সেনাকর্মী। স্ত্রী ও কন্যাকে খুন করে আত্মঘাতী হওয়া প্রাক্তন সেনাকর্মীর নাম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর স্ত্রীর নাম দেবিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মেয়ের নাম দিশা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকালে মেয়ে ও স্ত্রীকে খুন করে ওই সেনাকর্মী মধ্যমগ্রামে স্টেশনে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দমদম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জীবন ধর রোড এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার মধ্যমগ্রাম স্টেশনে হাবড়া লোকালের সামনে ওই প্রাক্তন সেনাকর্মী ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন। ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর দেহ একেবারে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। দেহ উদ্ধার করার পর পুলিশ ওই ব্যক্তির ঠিকানা খোঁজার চেষ্টা করে। তখন বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তালাবন্ধ। এর পর তালা ভাঙতেই ওই প্রাক্তন সেনা কর্মীর স্ত্রী ও কন্যা অর্থাৎ দেবিকা এবং দিশার রক্তাক্ত অবস্থায় দেহ দেখতে পায় পুলিশ। সব্জি কাটার যে ছুরি দিয়ে খুন করা হয়েছে তাও পড়েছিল ওখানেই।
পুলিস জানিয়েছে, মেয়ে ও স্ত্রীকে প্রথমে খুন করেন গৌতম। তারপর সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। চেষ্টা ব্যর্থ হলে বাড়ি তালা দিয়ে মধ্যমগ্রামে পৌঁছান। সেখানেই চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন তিনি। প্রতিবেশীরা জানান, ভদ্রমহিলা খুব মিশুকে ছিলেন। যদিও ওই সেনাকর্মী কারও সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা করতেন না। সেনাকর্মীর ফ্ল্যাটে অনেক ওষুধপত্রও পাওয়া গেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অবসাদের জেরেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন ওই সেনা কর্মী।