মহানগর ডেস্ক: শীর্ষ আদালতে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়সড় ধাক্কা রাজ্যের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছিল, তা আজ খারিজ করলো সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। বহাল থাকলো কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ। অর্থাৎ পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত প্রক্রিয়া সচল রাখবে সিবিআই। শিক্ষক দুর্নীতি মামলা ও পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলা – এই দুই মামলার ক্ষেত্রেই একাধিক সাধারণ ব্যক্তি জড়িয়ে রয়েছে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এই সওয়ালকে মান্যতা দিয়েছে। একথা জানান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এ এস ভি রাজু।
আরও পড়ুন: নৃশংসতায় শেষ হয়েছিল রাজীবের কেরিয়ার, বিস্ফোরক সোনিয়া
একদিকে পুরসভা দুর্নীতি মামলা, আর অন্যদিকশিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলা- দুই ক্ষেত্রেই জোর কদমে তদন্ত করছে সিবিআই-ইডি। সোমবারের শুনানিতে তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এ এস ভি রাজু সওয়াল করে বলেন, শিক্ষা দুর্নীতি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে নাম আসে অয়ন শীলের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গেছে। ওইসব নথি থেকেই পুরসভায় দুর্নীতির কথা জানা গিয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে এখনও বাংলার একাধিক পুরসভায় ১৮০০ নিয়োগ হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ১৬টা পুরসভায় দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। একই ব্যক্তি স্কুলে ও পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন এমন নজিরও রয়েছে। তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন অয়ন শীল। ইন্টারমেলিংয়ের কাজ করেছেন তিনি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, বিধায়কের থাকতে পারে উভয় দুর্নীতিতে।
রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলের যুক্তি, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এখনো পর্যন্ত সেরকম কোনো তথ্য প্রমাণ নেই। তাই এক্ষেত্রে তদন্ত অপ্রয়োজন। তদন্তে রাজ্য পুলিশকে কেন যুক্ত করা হচ্ছে না? কেনই বা তদন্তকারী সংস্থা রাজ্য পুলিশকে এড়িয়ে চলছে? প্রশ্ন তুলেছেন কপিল সিব্বল। যদিও সিবিআই সুনির্দিষ্ট এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানায় সুপ্রিমকোর্ট।