ছেলের চেহারা বড্ড রোগা হয়ে যাচ্ছে। তাই বাবা কিনে এনেছিলেন প্রোটিন ড্রিংকস (Protein Shake Caused Death)। কিন্তু সেই প্রোটিন শেক খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে ষোলো বছরের রোহন গোধানিয়া। তিনদিন পরে মৃত্যু হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত রোহনের। দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছিল বছর কয়েক আগে ব্রিটেনের ওয়েস্ট মিডলসেক্সে (Incident Took Place In England)। “ইনরিভার্সিবেল ব্রেন ড্যামজে” রোহনের মৃত্যু হয়।
তার মৃত্যুর পর অসুস্থ হওয়ার কারণ চিহ্নিত করার আগে দেহের অঙ্গগুলি দান করা হয়। ব্রিটেনের সংবাদপত্র মেট্রো জানিয়েছে ছেলের পেশি শক্তপোক্ত করার জন্য প্রোটিন ড্রিংক কিনে নিয়ে এসেছিলেন তার বাবা। সংবাদপত্রটি জানিয়েছে ওই প্রোটিন একটি বিরল জিনগত অবস্থা তৈরি করেছিল, যাকে অরনিথাইন ট্রান্সকারবামাইলেস ডেফিসিয়েন্সি বলা হয়। তাতে রোহনের রক্তপ্রবাহে অ্যামোনিয়ার ব্যাপক ঘাটতি সৃষ্টি করেছিল। যা মৃত্যু ডেকে এনেছিল।
ময়না তদন্তে প্রাথমিকভাবে রোহনের মৃত্যু যে বিরল রোগের কারণে হয়েছে, সেই অরনিথাইন ট্রান্সকারবামাইলেস ডেফিসিয়েন্সিকে তা শনাক্ত করতে পারেনি। ব্রিটেনের বাকিংহাম শায়ারে মিলটন কেইনস করোনার কোর্টে সুরতহাল রিপোর্টে তা জানা গিয়েছিল। বিরল ওই রোগে রক্তপ্রবাহে অ্যামোনিয়ার এমন একটি স্তর তৈরি করে যা মৃত্যু ডেকে আনে। প্রোটিনের লোড এমন পরিস্থিতি তৈরি করে থাকে বলে জানা গিয়েছে।
করোনার টন ওসবোর্ন জানিয়েছেন এই ধরণের প্রোটিন ড্রিংকসের ব্যাপারে তাঁর প্রাথমিক মত হচ্ছে এ ব্যাপারে কোনও নিয়ন্ত্রক বডির কাছে লেখা উচিত যে ড্রিংকের প্যাকেটে লেখা উচিত এই পানীয় কারো ক্ষতি করতে পারে এবং প্রোটিনের মাত্রাছাড়া চাপ সৃষ্টি করে থাকে, তা যেন লিখে দেওয়া জরুরি।