মহানগর ডেস্ক: আলসেমিজিনিসটা কমবেশি অনেকেরই আছে। অনেকের না হোক, কারো কারো তো আছেই। আলসেমি বা আলস্য তাদের সব ব্যাপারেই। তা সে পড়াশোনা থেকে ঘরের কাজ,এমনকী জরুরি কাজেও। জাপানে (Japan) অবশ্য এই আলস্য দূর করার একটা সাংস্কৃতিক ধারণা চালু রয়েছে, যা আলসেমি দূর করার জন্য ব্যাপারে মোটের ওপর অব্যর্থ। এটি কাইজেন (Kyzen Technic) নামে পরিচিত।
এই পদ্ধতি আসলে একটা দর্শন, যা ক্রমাগত উন্নতিতে আলোকপাত করে থাকে এবং এই ছোট্ট বিষয়টি ধাপে ধাপে রূপান্তরের একটি ব্যাপার যেটি সময়ে তাৎপর্যপূর্ণ রূপান্তরের দিকে নিয়ে যায় এবং মানুষ আলস্যের চক্কর থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। সেইসঙ্গে সৃজনশীল ও শৃঙ্খলাবদ্ধ মানসিক গঠনও তৈরি করে। এই কাইজানের প্রথম ধাপ হল আলস্য জয় করতে অভ্যেস ব্যাপারটাকে চিহ্নিত করা দরকার।
কোনও অলস ব্যক্তির আচার আতরণের সারণি ও ভাবনার ধরণে প্রতিফলন ঘটিয়ে যেসব জায়গায় আলসেমি বা অলসতা রয়েছে, সেটা বোঝার চেষ্টা করা। কাইজেন বাস্তবসম্মত লক্ষ্যগুলির ওপর বিশেষ জোর দিয়ে থাকে। বড় বড় কাজকে ছোট ছোট ধাপে ভেঙে ফেলা হয়। ছোট ছোট লক্ষ্যে আলোকপাত করে আপনি আলস্যের আতিশয্যকে কমাতে পারবেন। এবার আসা যাক এক মিনিটের একটি টোটকা।
এটি একটি শক্তিশালী কৌশল। যে কাজটা আপনি এড়িয়ে যান, মাত্র এক মিনিট এটি করলে কাজ হবে। প্রায়ই এটি করতে আলসেমি দেখান। এটি যদি শুরু করেন,তাহলে আপনি কাজটি করতেই থাকবেন এবং কাজটি শেষ করবেন। এছাড়া একটা রুটিন তৈরি করে ফেলুন, তাতে আলস্য দূর হবে। কাজ, বিশ্রাম, অন্যান্য কাজের জন্য সময় নির্দিষ্ট করুন। এটা করলে খুব ধীরে ধীরে একটা শৃঙ্খলাবোধ তৈরি হবে আপনার মধ্যে।
ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা আস্তে আস্তে কমতে থাকবে। পোমোডোরো টেকনিকে টাইম ম্যানেজমেন্ট আপনার সৃজনশীলতাকে বাড়িয়ে তুলবে। আপনার কাজকর্মগুলোকে পঁচিশ মিনিটের বিরতিতে ভাগ করুন, যাকে পোমোডোরো বলা হয়। এতে হাঁফিয়ে ওঠার ব্যাপারটার ব্যাপারটার ওপর আলোকপাত করবে।