বিক্রম ব্যানার্জী: বেশ কিছুদিন আগে পাকিস্তান জাতীয় দল থেকে বাবর আজমকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন সতীর্থ ফকর জমান। যার কারণে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের শোকজ নোটিশও পেতে হয়েছিল খেলোয়াড়কে। তবে সেসব এখন অতীত। দল থেকে বাবরকে ছেঁটে ফেলায় অসন্তুষ্ট প্রাক্তন বোর্ড নির্বাচক ইকবাল কাসিমও। এক্স ক্যাপ্টেনকে দলে না রাখায় পিসিবিকে তুলোধোনা করলেন তিনি।
পিসিবির সিন্ধান্তের ঘোর বিরোধী ইকবাল কাসিম
দীর্ঘ বেশ কয়েক ম্যাচে তেমন ছন্দে দেখা যায়নি বাবরকে। ফলত দ্বিতীয় ইংল্যান্ড টেস্টের আগেই দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। এরপরই ক্রিকেটারের ফর্ম নিয়ে উঠেছিল একাধিক প্রশ্ন। তবে বন্ধুর খারাপ সময়ে পাশে ছিলেন সতীর্থ ফখর জমান। সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তিনি। এবার সেই পথ ধরেই বাবরের পাশে দাঁড়ালেন পিসিবির প্রাক্তন নির্বাচক ইকবাল কাসিম। খেলোয়াড়ের বাদ পড়া নিয়ে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেট বোর্ড নির্বাচক জানান, ‘যে খেলোয়াড় ভাল পারফর্ম করছে তাকেই দলের অধিনায়ক করতে হবে, বর্তমানে বেশিরভাগেরই এমন মানসিকতা হয়ে গিয়েছে। প্লেয়ারের খারাপ সময় তাকে দুধ থেকে মাছির মতো তুলে ফেলে দেওয়া হয়। বাবর আজমের সেঞ্চুরি এবং ফিফটি দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। বাকি বেশ কিছু ম্যাচে 30 থেকে 35 রান করেছেন। যা করতে অন্যান্য খেলোয়াড়দের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।’
এরপরই কাসিমের সংযোজন, ‘বাবর 100 রান করতে পারলেই তিনি দলে থাকবেন, প্রতি ম্যাচে কেন এত বেশি রানের মাপকাঠি সেট করা হয়েছে? জহির আব্বাসসহ প্রত্যেক বড় মাপের খেলোয়াড়দের খারাপ সময় আসে। সেই সময়ে তাদের পাশে থাকা উচিত। বাবর আজমের ক্ষেত্রে সেই বিষয়টি সেঞ্চুরি দিয়ে কেন মাপা হয় হচ্ছে?’ এদিন মাজিদ খান, ইমরান খান ও জাভেদদের প্রসঙ্গ টেনে প্রাক্তন নির্বাচক জানান, ‘এই সব সুপারস্টারদের ছাড়া একটি দল গঠন করা সম্ভব নয়।’ দলের প্রতি বাবরের অবদান স্মরণ করিয়ে কাসিম আরও বলেন, ‘তার মতে বাবর খুব উচ্চমানের খেলোয়াড়। ভারত, ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানে তার অগণিত ভক্ত। তিনি বিশ্বের প্রথম স্থানে রয়েছেন। কাজেই তাকে অধিনায়ক পদ থেকে সরিয়ে দিলেও দলে রাখা উচিত।’
আরও পড়ুন: ফ্রান্স ইউক্রেনে সেনা পাঠালে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হবে, হুঁশিয়ারি রাশিয়ার