মহানগর ডেস্ক: ফুলের মতো নিষ্পাপ,ফুটফুটে শিশুকন্যা বা ছেলে দেখলেই আমাদের মন উদ্বেল হয়ে ওঠে। ওদের নিষ্পাপভাব সবার আদর কেড়ে নেয়। কিন্তু কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পড়তে আসা ছ বছরের শিশুকন্যাকে দিয়ে স্কুলের ডিস মাজায় চাপ দেওয়া হয়, সেটা নিশ্চয় মেনে নেওয়া যায় না। মেয়েক দিয়ে ডিস মাজানোর খবর পেয়ে তার বাবা যখন অভিযোগ জানান তখন ফুটফুটে ছাত্রীকে বের করে দেওয়া হয়। এমন দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে চিনের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে শিশুকন্যার বাবা য়ু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ওয়েবোয় একটি ভিডিও আপলোড করে দাবি করা হয়েছে তাঁর ছ বছরের ছোট্ট মেয়েকে ওই কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পঁচিশটি ছাত্রীর ডিস টানা একুশদিন মাজানো হয়েছে। শুরুর দিকে মেয়ে ঘামে ভিজে আসতো। বাড়ি ফিরে বলতো সে খুব ক্লান্ত। একদিন মাঝরাতে বিছানায় ঘুম থেকে উঠে মেয়েটি বাবাকে জানায় সে আর স্কুলে যাবে না। সে ডিস ধুতে ধুতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। সবাই যখন খেলে তখন তাকে একা একা ডিস ধুতে হয়।
ঘটনাটি জানার পর মেয়ের শিক্ষককে অত্যন্ত জঘন্য বলে বর্ণনা করেছেন য়ু। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে তাঁকে বলা হয় তাঁর মেয়েকে কর্মঠ করতেই ওই কাজ করানো হয়েছে। মেয়েটি খুব চনমনে বলে জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাদের যুক্তি তাঁর মেয়ে ভীষণ ভালো,তাই যখন ক্লান্ত হয়ে পড়তো,তখনই ছোট্ট করে ঘুমিয়ে নিতো। য়ু জানান বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া দেওয়ার পরই বিষনজরে পড়ে এবং পরে তাকে স্কুল বার করে দেয়। শিশুকন্যার বাবা জানান একরকম বিনা নোটিসে মেয়েকে বের করে দিয়েছে স্কুল।
বহিষ্কারের কোনও কারণও জানায়নি। অভিযুক্ত শিক্ষকের কাছ থেকে কোনও কৈফিয়ত তলব না করে স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের নামে মিথ্যে অভিযোগ করায় য়ু-র বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবছে। স্কুলের লিগাল অ্যাডভাইসার জানিয়েছেন এই স্কুল কখনও বেআইনি কাজ করে না। শিশুদের প্রতি খারাপ আচরণও করে না। এখন ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় স্কুল প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে।