HomeNationalকংগ্রেস না বিজেপি? কার দখলে কুর্সি, আজ ফয়শালায় রাজস্থানের ভোটাররা

কংগ্রেস না বিজেপি? কার দখলে কুর্সি, আজ ফয়শালায় রাজস্থানের ভোটাররা

- Advertisement -

মহানগর ডেস্ক: রাজস্থানে কুর্সি কার, কংগ্রেস না বিরোধী দল বিজেপির দখলে, তার ফয়শলা করতে আজ সকাল থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেছেন রাজ্যের ভোটাররা। অশোক গেহলত দ্বিতীয়বার কুর্সিতে বসবেন কিনা, তা মোদী ম্যাজিকে গেরুয়া শিবির ক্ষমতার দখল নেবে, তা নেই শেষ নেই চর্চা,জল্পনার। মোট ২০০টি আসনের মধ্যে ভোট হচ্ছে ১৯৯টি আসনে। সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ, চলবে সন্ধ্যে ছটা পর্যন্ত। শ্রীগঙ্গানগরের করণপুর আসনে কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে ভোট হচ্ছে না। ২০১৮ সালে কংগ্রেস একশো আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে একটি আসন কম পেয়েছিল। বিজেপি দখল করেছিল তিয়াত্তরটি আসন। ২০১৩ সালে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ছিটকে যায়। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে কম পেয়েছিল তারা। এবারের গুরুত্বপূর্ণ ভোটে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১,৮৬২। মোট ভোটারের সংখ্যা পাঁচ কোটি পঁচিশ লক্ষ। এককোটি একাত্তর লক্ষ ভোটারের বয়সসীমা আঠেরো থেকে তিরিশ বছর। নতুন ভোটারের সংখ্যা বাইশ লক্ষ একষট্টি হাজার। কংগ্রেসের আশা জাদুকর হিসেবে পরিচিত অশোক গেহলটের সাতটি কল্যাণমূলক পদক্ষেপ ফের ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনবে। ১৯৯৩ সাল থেকে ভোটাররা দ্বিতীয়বার কোনও দলকে ক্ষমতায় আনেনি। সেইসুবাদে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরে আসার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জনপ্রিয়তার ওপর নির্ভর করে আছে বিজেপি। দলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের প্রশ্নাতীত জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও এবার তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে তুলে ধরেনি দল। বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নারী-নির্যাতন,দুর্নীতি, পেপার লিক কেলেঙ্কারি নিয়ে ভোটের আগে উপর্যুপরি আক্রমণ শানিয়ে এসেছে। তারা গেহলটের অনিয়ম নিয়ে লাল ডায়রিকে তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করেছে। আর তাতে ইন্ধন হিসেবে বহিষ্কৃত মন্ত্রী রাজেন্দ্র গুঢাকে কাজে লাগিয়েছে তারা। বিরোধীদের আশা গেহলট ও প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের মধ্যে দ্বন্দ্ব তাদের পক্ষে কাজ দেবে। ২০২০ সালে দুজনের মধ্যে মতপার্থক্য এবছরের শুরুতে অনেকটাই চরম আকার হয়। দুপক্ষের মধ্যে মতপার্থক্যের মধ্যেও শুক্রবার ভোটারদের কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন পাইলট। তাঁর সঙ্গে সাথ দিয়েছেন গেহলট। যাকে দলের ঐক্যের একটি তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। এক্সে গেহলট শচীনকে একজন তরুণ নেতা বলে আখ্যা দিয়েছেন। এবারের বিধানসভা ভোটে রাজ্যবর্ধন রাঠোর, দীয়া কুমারী ও কিরোদি লাল মিনা-সহ সাতজন সাংসদকে বিধানসভা ভোটে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। তাঁদের প্রত্যেককেই প্রথম তালিকায় রাখা হয়েছে। ভোটে এক লক্ষেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। এক দফার ভোট যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিয়ে এই ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন। ভোট গণনা হবে তেসরা ডিসেম্বর।

 

Powered By

মহানগর ডেস্ক: রাজস্থানে কুর্সি কার, কংগ্রেস না বিরোধী দল বিজেপির দখলে, তার ফয়শলা করতে আজ সকাল থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেছেন রাজ্যের ভোটাররা। অশোক গেহলত দ্বিতীয়বার কুর্সিতে বসবেন কিনা, তা মোদী ম্যাজিকে গেরুয়া শিবির ক্ষমতার দখল নেবে, তা নেই শেষ নেই চর্চা,জল্পনার। মোট ২০০টি আসনের মধ্যে ভোট হচ্ছে ১৯৯টি আসনে। সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ, চলবে সন্ধ্যে ছটা পর্যন্ত। শ্রীগঙ্গানগরের করণপুর আসনে কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে ভোট হচ্ছে না। ২০১৮ সালে কংগ্রেস একশো আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে একটি আসন কম পেয়েছিল। বিজেপি দখল করেছিল তিয়াত্তরটি আসন। ২০১৩ সালে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ছিটকে যায়। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে কম পেয়েছিল তারা। এবারের গুরুত্বপূর্ণ ভোটে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১,৮৬২। মোট ভোটারের সংখ্যা পাঁচ কোটি পঁচিশ লক্ষ। এককোটি একাত্তর লক্ষ ভোটারের বয়সসীমা আঠেরো থেকে তিরিশ বছর। নতুন ভোটারের সংখ্যা বাইশ লক্ষ একষট্টি হাজার। কংগ্রেসের আশা জাদুকর হিসেবে পরিচিত অশোক গেহলটের সাতটি কল্যাণমূলক পদক্ষেপ ফের ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনবে।

১৯৯৩ সাল থেকে ভোটাররা দ্বিতীয়বার কোনও দলকে ক্ষমতায় আনেনি। সেইসুবাদে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরে আসার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জনপ্রিয়তার ওপর নির্ভর করে আছে বিজেপি। দলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের প্রশ্নাতীত জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও এবার তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে তুলে ধরেনি দল। বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নারী-নির্যাতন,দুর্নীতি, পেপার লিক কেলেঙ্কারি নিয়ে ভোটের আগে উপর্যুপরি আক্রমণ শানিয়ে এসেছে। তারা গেহলটের অনিয়ম নিয়ে লাল ডায়রিকে তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করেছে। আর তাতে ইন্ধন হিসেবে বহিষ্কৃত মন্ত্রী রাজেন্দ্র গুঢাকে কাজে লাগিয়েছে তারা। বিরোধীদের আশা গেহলট ও প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের মধ্যে দ্বন্দ্ব তাদের পক্ষে কাজ দেবে।

২০২০ সালে দুজনের মধ্যে মতপার্থক্য এবছরের শুরুতে অনেকটাই চরম আকার হয়। দুপক্ষের মধ্যে মতপার্থক্যের মধ্যেও শুক্রবার ভোটারদের কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন পাইলট। তাঁর সঙ্গে সাথ দিয়েছেন গেহলট। যাকে দলের ঐক্যের একটি তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। এক্সে গেহলট শচীনকে একজন তরুণ নেতা বলে আখ্যা দিয়েছেন। এবারের বিধানসভা ভোটে রাজ্যবর্ধন রাঠোর, দীয়া কুমারী ও কিরোদি লাল মিনা-সহ সাতজন সাংসদকে বিধানসভা ভোটে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। তাঁদের প্রত্যেককেই প্রথম তালিকায় রাখা হয়েছে। ভোটে এক লক্ষেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। এক দফার ভোট যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিয়ে এই ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন। ভোট গণনা হবে তেসরা ডিসেম্বর।

 

Powered By

 

Most Popular