মহানগর ডেস্ক: এই পৃথিবীতে এমন কিছু ঘটনা রয়েছে, বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা মেলে না। এমনই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর জেলায়। যার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না। সেখানে সরতাজ গোট রেয়ারিং ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে দুধ দিচ্ছে পাঁঠা (Four Male Goats yielding Milk) । একটা নয়, চারটি পাঁঠা গত তিন বছর ধরে এমন অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে।
যদিও সেন্টারের ম্যানেজার সাজিদ আখতার জানিয়েছেন এমন ঘটনা তাঁদের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার। তিনি জানিয়েছেন, চারটি পাঁঠা বা পুরুষ ছাগল রোজ তিনশো মিলিলিটার দুধ দিচ্ছে। জানান, চারটি ছাগল চারটি আলাদা প্রজাতির। একটা পাঞ্জাবী বিটাল, নাম বাদশা। পাহিরা প্রজাতির পাঁঠার নাম শেরু, আরেকটি হংস প্রজাতির। নাম সুলতান। আরেকটা হায়দ্রাবাদের। তার নাম হায়দ্রাবাদী চাচা।
তবে এই রেয়ারিং সেন্টারে এমন ঘটনা নতুন নয়। পশু চিকিৎসক তুষার নিমাডে এর আগে জানিয়েছিলেন, তিনি এমন একটি পাঁঠাকে দেখেছেন যে দশ বছর ধরে দুধ দিয়ে চলেছে। কারণ হিসেবে জানিয়েছেন এর রহস্য বা কারণ হল পাঁঠার শরীরে হর্মোনের পরিবর্তন। প্রতি হাজারে একটি করে এমন ঘটনা ঘটে থাকে। দুধ পরীক্ষা করে দেখা করে দেখা গিয়েছে ছাগলের স্বাভাবিক দুধের সঙ্গে পাঁঠার দুধের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।
জেলায় এই বেসরকারি ছাগল প্রতিপালন কেন্দ্র তৈরি হয়েছিল ছ বছর আগে। এখানে দশটি বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল রয়েছে। আখতার জানিয়েছেন ছাগল ও পাঁঠার দুধের গুণমানে কোনও পার্থক্য নেই। একইরকম, ঠিক যেমনটা ছাগলের দুধ,তেমনই। তিনি জানান এই ঘটনা খবরের শিরোনামে আসার পর পর্যটক,কৃষক ও গবেষকরা নিয়মিতই এখানে আসা শুরু করেছেন।