নয়াদিল্লি: লাদখে ভারত-চিনের সীমান্ত ইস্যুর জট কাটার বদলে আরও জটিল হচ্ছে। ভারতের পক্ষ থেকে শান্তির বার্তা দেওয়া হলেও বারবারই চিনের দিক থেকে আসছে উস্কানি। সম্প্রতি তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে। চিনের সরকারি দফতর থেকে প্রকাশ করা একটি মানচিত্রে ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকাকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করেছে। যাকে ঘিরেই ভারতের রাজনৈতিক মহলে ঝড় উঠেছে। চিনের নয়া মানচিত্র নিয়েই মোদী সরকারকে ফের একবার আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। শিবসেনা (ইউবিটি) সাংসদ সঞ্জয় রাউত মঙ্গলবার ক্ষোভ উগড়ে বলেছেন, লাদাখ নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দাবি সত্য ছিল । সেই সঙ্গেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সাহস থাকলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা উচিত।
মঙ্গলবার প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সঞ্জয় রাউত বলেছেন, লাদাখের প্যাংগং উপত্যকায় চিন প্রবেশ করেছে রাহুল গান্ধীর এই দাবি সত্য। তিনি আরও বলেছেন, “(আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) সম্প্রতি ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিয়ে শি জিনপিংকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। এর পরে আসে চিনের মানচিত্র। রাহুল গান্ধীর দাবি সত্য যে চিন লাদাখের প্যাংগং উপত্যকায় প্রবেশ করেছে। চিন অরুণাচলে প্রবেশের চেষ্টা করে। যদি তাদের (কেন্দ্রীয় সরকারের) সাহস থাকে এরপর চিনে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করবে।” এর পরেই তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করে বলেছেন, “চিনের উপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করার সাহস কি আছে আপনার? প্রধানমন্ত্রী মোদীর উচিত বিষয়টি খতিয়ে দেখা। তিনি সম্প্রতি ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা (BRICS) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন এবং এমনকি চিনা কর্মকর্তাদের আলিঙ্গনও করেছিলেন। এমন ঘটনা আমাদের হৃদয় ভেঙে দেয়। রাহুল গান্ধী ঠিকই বলেছিলেন যখন তিনি বলেছিলেন যে চিন আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে।”
জানিয়ে রাখা ভাল, ২৮ আগস্ট চিন একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে যেখানে চ্ছে, অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনের একটা বড় অংশ নিজেদের জমি বলে দাবি করেছে। তাইওয়ান এবং বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরকেও নতুন মানচিত্রে চিনা ভূখণ্ডের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চিনের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রক সোমবার ঝেজিয়াং প্রদেশের ডেকিং কাউন্টিতে সমীক্ষা ও মানচিত্র প্রচার দিবস এবং জাতীয় মানচিত্র সচেতনতা প্রচার সপ্তাহ উদযাপনের সময় নতুন মানচিত্রটি প্রকাশ করেছে। যাকে চিন স্ট্যানডার্ড ম্যাপ হিসেবে উল্লেখ করেছে । এই নয়া মানচিত্র নিয়েই ভারতের রাজনীতিতে নতুন তরজা শুরু হয়েছে।