HomeNationalমুসলিম ছাত্রকে থাপ্পড় মারার নিদান স্কুল শিক্ষিকার! যোগীরাজ্যের ঘটনায় তোলপাড় দেশ 

মুসলিম ছাত্রকে থাপ্পড় মারার নিদান স্কুল শিক্ষিকার! যোগীরাজ্যের ঘটনায় তোলপাড় দেশ 

- Advertisement -

মহানগর ডেস্ক: একজন স্কুলের ছাত্রের ওপর শিক্ষিকার অমানবিক আচরণ! যা দেখলে রীতিমত শিহরিত হবেন আপনিও। ক্লাসের হিন্দু পড়ুয়াদের দিয়ে মুসলিম ছাত্রকে মারধর করালেন এক শিক্ষিকা। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের একটি স্কুলের।

এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ক্লাসের মুসলিম পড়ুয়াদের চড় মারতে হিন্দু শিশুদের আদেশ দিচ্ছেন এক শিক্ষিকা। উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের এক স্কুলের এই ঘটনায় উঠেছে বিতর্কের ঝড় উঠেছে সব মহলেই। ঘটনার একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে সেই শিক্ষিকা ক্লাসের পড়ুয়াদের বলছেন, “আমি ঘোষণা করছি যে ক্লাসে যত  মুসলিম বাচ্চা আছে তাদেরকে যেন একটা করে চড় মারা হয়।” এ কথা বলে, হিন্দু ছাত্রছাত্রীদের তিনি উৎসাহ দিচ্ছেন ওই মুসলিম ছাত্রটিকে থাপ্পড় মারার জন্য। তার পর দেখা যাচ্ছে, এক জন ছাত্র উঠে এসে ওই শিশুটির গালে থাপ্পড় মারছে। এমনকি জোরে চড় মারার নিদান দেওয়া হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। এরপর সেই শিক্ষিকা নির্দেশ দেন, যাতে সেই মুসলিম পড়ুয়ার কোমরে মারা হয়।

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই পুলিশ এর তদন্তে নেমেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যে শিশুটিকে মারা হয়েছিল, সে নাকি নামতা মুখস্ত বলতে পারেনি। এদিকে ঘটনার পর শিশু অধিকার সুরক্ষা সংস্থা বা এনসিপিসিআর-এর প্রধান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো আবেদন করেন, এই ঘটনায় যে পড়ুয়াকে মারধর করা হয়েছে, তার পরিচয় রক্ষার জন্য যাতে ভিডিওটি শেয়ার না করা হয়। প্রসঙ্গত,  ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে “বিবিধের মাঝে মিলন মহান”কেই ধ্রুব সত্য বলে মনে করা হয়। সেখানে কিনা স্কুল লেভেল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষ ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে! মুজাফরগনগের পুলিশ সূত্রে খবর, শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে উত্তর প্রদেশের স্কুল শিক্ষা দফতর।

তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃপ্ত ত্যাগী নামক ওই শিক্ষিকা। বিষয়টিকে ছোট ঘটনা বলে দাবি করে তিনি বলেন, এর মধ্যে কোন সম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ নেই। ওই স্কুল ছাত্র হোমওয়ার্ক করে আনে না। আপনি নিজে প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে অন্য ছাত্রকে দিয়ে চড় মারা করিয়েছেন যাতে ওই ছাত্রটি প্রতিদিনের কাজ করে স্কুলে আসে। নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন ঐ শিক্ষিকা।

ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে শশী থারুর অনেকেই এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করে টুইট করেছেন। টুইট করে দৈনন্দিন বিষয়গুলিকে ভাইরাল করলে আপনারা কিভাবেই বা শিক্ষা প্রদান করবে? প্রশ্ন অভিযুক্ত শিক্ষিকার। শিশুটির বাবা জানান, এই বিষয়ে তিনি বিদ্যালয় এর উপর কোন রকম দায় চাপাতে চান না। আগামী দিনে তিনি আর নিজের ছেলেকে ওই স্কুলে পাঠাবেন না।

 

Most Popular