মহানগর ডেস্ক: অনলাইন মানে আজকাল একরকম হাতে চাঁদ পাওয়ার মতোই ব্যাপার। অ্যাকাউন্টে টাকা থাকলে মাউসে ক্লিক করে ইচ্ছেমতো জিনিস আনিয়ে নেওয়া সম্ভব। আর এখন এই ট্রেন্ডই চলছে। কেইবা শরীরকে ব্যস্ত করে বাইরে বেরিয়ে জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে চায়। যা আপনার দরকার,তাই মিলবে অনলাইনে। একবার ক্লিক করলেই হল। আলাদীনের গল্পের মতো হাজির আপনার চাহিদামতো জিনিস। আপনি ডেলভারি ম্যানকে নগদ টাকা দিয়ে নিয়ে নিন অর্ডারের জিনিসপত্র। করোনার পর থেকে অনলাইন ডেলিভারির ব্যাপক চল শুরু হয়েছে। আর এখন অধিকাংশ মানুষ অনলাইনের ওপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
কিন্তু এই সুবিধে মাঝেমাঝে বিপরীত ফল দিয়ে থাকে। যা সবাইকে কখনও চমকে,কখনও চোখ উল্টে দেয়। এই ঘটনাটি একজন ৫৯ বছরের বয়স্ক মানুষের তিতিবিরক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে। তিনি অনলাইনে মুদীর জিনিসপত্রের অর্ডার দিয়েছিলেন। টাকাটা নেহাত ফেলনা হয়। একশো ছিয়াশি ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় ১৫,৫০০ টাকা। কিন্তু বাড়িতে অনলাইনে মুদীর জিনিসপত্র আসার পর রীতিমতো অদ্ভুত ও অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হন। ডেলিভারি ব্যাগের একটি খুলে দেখেন সেই ব্যাগ থেকে শুধু বিষ্ঠা বেরোচ্ছে। যা দেখে তার চোখ রীতিমতো ছানাবড় হয়ে যায়। সংবাদমাধ্যমকে ফিল স্মিথ নামে ওই ক্রেতা জানিয়েছেন একটি ব্যাগ খুলতেই দেখতে পান তা থেকে হুড়হুড় করে মানুষের বিষ্ঠা বেরোচ্ছে তো বেরোচ্ছেই। রেগে গেলেও অনলাইনের মুদীর জিনিসপত্র বিক্রি করা ব্যবসায়ীকে তিনি শুধু বলেন তাঁদের কিছুই করতে হবে না। শুধু মেঝেয় ছিটিয়ে থাকা বিষ্ঠা পরিষ্কার করতে হবে। বিষয়টি পরে ফিল স্মিথ হেলথ ইনস্পেক্টরকে জানান। অনলাইনে খাবার ডেলিভারি নিয়ে আরও একটি অস্বস্তিকর ঘটনার কথা জানা গিয়েছে। এ বছরের গোড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটি পোস্ট করা হয়। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উটার ঘটনা। সেদেশের এক ক্রেতা মিল্ক শেকের অর্ডার দিয়েছিলেন। অনলাইনে অর্ডার দেওয়ার পর মিল্ক শেক এসেছিল ঠিকই। তবে বোতলে মিল্ক শেক ছিল না। বদলে তাতে মিলেছিল মানুষের প্রস্রাব। বিষয়টি ডেলিভারি ম্যানকে জানানোর পর সে কোনও প্রশ্নের জবাব না দিয়ে আরেকটি মিল্ক শেকের কাপ ধরিয়ে দেয়। যদিও বিশ্রি ঘটনাটির কথা ক্রেতা দীর্ঘদিন ভুলতে পারেননি।