কলকাতা: যাদবপুর হস্টেলে কী ঘটেছিল সেই রাতে? কেন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো স্বপদীপ? পুলিশের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ডিন অফ স্টুডেন্টসকে একদলের ফোন, আরেকদল ব্যস্ত ছিল র্যাগিংয়ে? ওই অভিশপ্ত রাতের কথা বলতে গিয়ে ফার্স্ট ইয়ারের এক পড়ুয়া রীতিমত থেমে থেমে যাচ্ছিলেন। নদিয়ার মৃত ছাত্রের মতো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে সিনিয়রদের হাত ধরেই জায়গা পায় সে। প্রথম বর্ষের পড়ুয়া হিসেবে ইন্ট্রো দেওয়ার নাম করে অকথ্য মানসিক নির্যাতন চলতো কিভাবে, সেই ভয়ঙ্ককর কথাই জানিয়েছে এই পড়ুয়া।
ছাত্রের বয়ান থেকে জানা গিয়েছে,
রাত ১০.০৫: ডিন অফ স্টুডেন্টসকে একজন ফোন করে। এরপরেই হস্টেলের সুপারকে ডিন অফ স্টুডেন্টস ফোন করেন। রাত ১১.৩০ নাগাদ পরিচয়পর্বের নাম করে একটা ঘরের মধ্যে চলতে থাকে অকথ্য মানসিক নির্যাতন। রাত ১১.৪৫ নাগাদ হস্টেলের নীচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্বপ্নদীপের দেহ উদ্ধার হয়। ধৃতদের জেরায় ৯ অগাস্টের রাতের অত্যাচারের হাড়হিম করা তথ্য মিলেছে। আর এই তথ্যের সঙ্গে অকথ্য অত্যাচারের শিকার এক পড়ুয়ার জবানবন্দি পাওয়া গিয়েছে। ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে হস্টেলের মধ্যে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের উপর অকথ্য মানসিক নির্যাতন চলছিল বলে জানা যাচ্ছে। ৯ তারিখের আগের রাতেও হয়েছিল এমন পৈশাচিক পরিচয় পর্ব। পরের দিনও চলে এমন কাজ। মৃত ছাত্রের নাম করে চিঠিও লেখানো হয়। ধৃত সৌরভ সপ্তকের ভূমিকা ছিল এই চিঠি লেখানোতে। এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্রে।
যে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ তাঁরা সকলেই ওই ঘটনার দিন উপস্তিত ছিল হস্টেলে। এদের সামনেই পুরো ঘটনা ঘটেছে। প্রাক্তনী হিসেবে যাঁদের ধরা হয়েছে, চিঠি লেখানোর সিদ্ধান্তে তাঁদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। ইতিমধ্যেই একটি চিঠি নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে যাদবপুরের বামপন্থী একটি সংগঠনের কর্মীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। সূত্রের জানা গিয়েছে, সৌরভ ও সপ্তক চিঠি লিখতে বলেছিলেন। চিঠি লিখেছিলেন দীপশেখর। সৌরভ হোয়াটসঅ্যাপে ওই চিঠি কাউকে পাঠিয়েওছিলেন বলেও তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। কিন্তু, কাকে পাঠিয়েছিল খতিয়ে দেখছে পুলিশ।