মহানগর ডেস্ক: দিন কয়েক ধরেই শপথ গ্রহণের দিনক্ষণ নিয়ে সমান তালে টানাপোড়েন চলছে ধূপগুড়ির বিধায়কের। তৃণমূলের নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ডাঃ নির্মলচন্দ্র রায় এর মাঝেই বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার জন্য সোমবার রাজভবনের চিঠি পান। তিনি ভেবেছিলেন, জটিলতা কাটল অবশেষে। এবার বিধায়ক হিসেবে শপথ নিতে পারবেন তিনি। কিন্তু চক্ষু চড়কগাছ চিঠির খাম খুলতেই। সত্যিই কি এমনটাও হতে পারে?
খাম খুলতেই দেখা গেল গত ২১ সেপ্টেম্বর চিঠিটি লেখা হয়েছিল। ২২ সেপ্টেম্বর রাজভবন থেকে তা পাঠানো হয় ।শপথ গ্রহণের নির্দিষ্ট তারিখ ছিল ২৩ সেপ্টেম্বর। অথচ যখন বিধায়কের হাতে সেই চিঠি পৌঁছল তখন ক্যালেন্ডারে তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ ৪৮ ঘণ্টা আগেই পার হয়ে গিয়েছে শপথ গ্রহণের দিন। এই বিষয়ে শাসকদল তৃণমূল বিধায়কের শপথ গ্রহণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কীভাবে এধরনের ভুল হল,আর সেই ভুল ইচ্ছাকৃত কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে ।
২৩ সেপ্টেম্বর রাজভবনের তরফে ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথ গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছিল। তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছে,তাহলে কেন একেবারে শেষ মুহূর্তে চিঠি পাঠানো হল। তাদের দাবি, দেশের ডাকবিভাগ সম্পর্কে ভালোমতো ওয়াকিবহাল রাজ্যপাল। তাহলে এতো দেরিতে কেন চিঠি পাঠালেন? প্রশ্ন উঠছে, সবটাই কি শুধুমাত্র ভুল নাকি ইচ্ছাকৃত ভুল? বিধায়ক চিঠি পাওয়ার পর রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন। যা শুনে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ”রাজ্যপাল কেন এমন করছেন জানি না। একজন নতুন বিধায়ক হয়েছেন। তিনি কাজ করবেন। এলাকার মানুষ তাঁর কাছে প্রত্যাশা করে। অন্তত কিছু সার্টিফিকেট তো তিনি দিতে পারবেন।”