HomeBengalদত্তপুকুরের গ্রামে "অত্যাধুনিক ল্যাব"এর হদিস! কাদের মদতে চলতো....

দত্তপুকুরের গ্রামে “অত্যাধুনিক ল্যাব”এর হদিস! কাদের মদতে চলতো….

- Advertisement -

 

 

দত্তপুকুরে অবৈধ বাজি কারখানায় রীতিমতো ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছে প্রশাসনের। ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এই বাজি বিস্ফোরণে। বিস্ফোরণের ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে, এখনো পর্যন্ত মাত্র একজনকেই ধরতে পেরেছে পুলিশ। তারই মাঝে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ মোছপোল গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাজি কারখানা। যত্রতত্র তৈরি হচ্ছে বাজি। তবে এবার শুধু বাজি তৈরির কারখানা কিংবা বাড়ি নয়, হদিশ মিলল একটি ল্যাবের।

জানা গিয়েছে যে, আব্দুল মইম হলো ওই ল্যাবের মালিক। সেখানেই নাকি রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানো হতো। ল্যাবের মালিকের সঙ্গে শাসকদলের একাধিক নেতার খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি করেছেন একাংশ। কিন্তু আব্দুল মইম আপাতত পলাতক। কোথায় রয়েছে ওই ল্যাবের মালিক জানে না পুলিশ।

পটাসিয়াম ক্লোরাইড – অ্যালুমিনিয়ামের গুঁড়ো ও বেরিয়াম নাইট্রেটের ত্র্যহস্পর্শে বিস্ফোরণ ঘটে যায় দত্তপুকুরের অবৈধ বাজি কারখানায়। অথচ পটাশিয়াম ক্লোরাইড ব্যবহারের ক্ষেত্রে পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস সেফটি অর্গানাইজেশনের নিষেধাজ্ঞা আছে। তা কখনোই বাজিতে ব্যবহারের যোগ্য নয়। বাজি তৈরিতে বেরিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করার অনুমতি চেয়ে বাজি প্রস্তুতকারকরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। কিন্তু আদালত তাতে অনুমতি দেয়নি। তাই বেরিয়াম নাইট্রেটও নিষিদ্ধ।

জানা গিয়েছে যে, মইমের ল্যাবে পটাশিয়াম ক্লোরাইড, অ্যালুমিনিয়াম গুঁড়ো বা বেরিয়াম নাইট্রেটের মতো জিনিস একত্রিত করে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতো বাজি প্রস্তুতকারকরা। নাকি অত্যাধুনিক জিনিসপত্রও ছিল ঐ ল্যাবে। কাদের মদতে চলত বাজি প্রস্তুতকারদের ল্যাব? পুলিশ প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কিভাবে চলতো এই ল্যাব উঠছে প্রশ্ন।

 

Most Popular