মহানগর ডেস্ক : সন্দেশখালি যাওয়ার পথে একের পর এক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিরোধী শিবিরের প্রতিনিধি দল থেকে শুরু করে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিদের। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে বলে বাদা দেওয়ার কারণ দেখানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। এবার রবিবার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে দলের এক সদস্যকে গ্রেফতারির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা।মঙ্গলবার দুপুর ৩ টে নাগাদ এই মামলার শুনানি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে প্রতিনিধি দল যায় সন্দেশখালিতে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সন্দেশখালি ঢোকার সময় গ্রেফতার হন পাটনা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। গ্রেফতারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ।
উল্লেখ্য,সোমবার সন্দেশখালি এলাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে যান ওই দলের সদস্যরা। রবিবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে তাঁদের আটকায় পুলিশ। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের ওই দলে ছিলেন পাটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এল নরসিমহা রেড্ডি সহ আইপিএস অফিসার, আইনজীবী-সহ ৬ সদস্য। রবিবার তাঁরা কলকাতা থেকে রওনা দিয়ে ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালির পাত্রপাড়া, মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়া, নস্করপাড়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।তবে ভোজেরহাট এলাকায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। এরপরেই রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। পুলিশ ওই টিমের সদস্যদের প্রিজন ভ্যানে তুলে আটক করে। একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে তাঁদের যেতে বাধা দেয় পুলিশ। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে আটকাতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল কলকাতা পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন ডিসি সৈকত ঘোষ।