নিজস্ব সংবাদদাতা: পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার। সেই ঘরের ভিতরে পড়েছিল থেঁতলানো মাথা। তাও আবার জঙ্গলের ভিতরে। মাটিগাড়া থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ইট দিয়ে মেরে ওই নাবালিকার মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে, এমনটাই অনুমান করছেন স্থানীয়রা। সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ ওই ছাত্রীকে পড়ে থাকতে দেখে কয়েকজন। এরপরই খবর জানাজানি হতেই খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ছাত্রীকে যখন উদ্ধার করা হয়, তার দেহের পাশেই পড়েছিল স্কুল ব্যাগটি। একটি ইটও রাখা ছিল ঘটনাস্থলে। দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশ ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ওই স্কুল ছাত্রীর খুনের ঘটনা সামনে আসে সোমবার। পুলিশ সূত্রে খবর,এক স্কুল ছাত্রের সঙ্গে ওই ছাত্রীকে দেখা গিয়েছিল শেষবার। এরপরই ছাত্রকে শনাক্ত করা হয় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে।পুলিশ রাতেই তাকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে শিশু সহ ৪ জনের মৃত্যু, বন্ধ স্কুল, হিমাচলে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি
বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এ ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “আমি ধূপগুড়ি থেকে ফিরছিলাম। রাস্তায় খবর পাই একটি বাচ্চা মেয়েকে থেঁতলে মারা হয়েছে। একটি জঙ্গলে পরিত্যক্ত ঘরে মৃতদেহ পাওয়া যায়। স্কুলের পোশাক পরা ছিল। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের কোনও স্কুলে পড়ত বলেই শুনেছি। এরকম শিলিগুড়ি আমি দেখিনি। এর আগে এক মহিলাকে ঘরের মধ্যে খুন করা হল। এরপরই এই ঘটনা। শিলিগুড়ির পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ।”
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ সিরাজের কথায়, “এদিন বিকেলে মেয়েটির চিৎকার শুনতে পান তিনি। এরপরই এলাকার লোকজন জড়ো করে সেখানে যান। সেখানে ওই ছাত্রীকে পড়ে থাকতে দেখলেও সঙ্গে কাউকে দেখেননি বলেই জানান তিনি। ছাত্রীর পরণে যে স্কুল ড্রেস ছিল, তার সূত্র ধরেই পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।”