মহানগর ডেস্ক : দেশে বিজেপি আসবে না, বিজেপি ২০০ আসন পার করতে পারবে না বলে যেদিন জলপাইগুড়ি থেকে হুঙ্কার দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিনই বালুরঘাট থেকে নরেন্দ্র মোদী বলছেন, “বাংলার মানুষ ঠিক করে নিয়েছে, ৪ঠা জুন ৪০০ পার হবে।” নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ জুড়ে নির্বাচনী জনসভা থেকে পরস্পরকে গালমন্দ, সমালোচনা করলেন, তবে কারও মুখেই স্থায়ী উন্নয়নের কোনও বার্তা শোনা গেল না। শুধু গরিবকে কে কি দিতে পেরেছেন এবং দেবেন, তারই ফিরিস্তি দিলেন মোদী-মমতা! ভারতের মতো বৃহত্তর গণতন্ত্রের দেশে সরকার গঠনের নির্বাচনে সেই অর্থে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাী মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে কোনও স্থায়ী উন্নয়নের কথা শোনা গেল না।
নরেন্দ্র মোদী এদিনের জনসভা থেকে আবার ধর্ম ও রাজনীতি এক করে ফেলেন। তিনি বলেন, “এবার সেই রাম নবমী, যখন অযোধ্যায় রামলালা নিজের ঘরে অধিষ্ঠিত।” মোদী বলেন, “বাংলায় রাম নবমী অনুষ্ঠানে শাসকদল বাধা দিয়েছিল, আদালতের অনুমতিতে রাজ্যের সর্বত্র রাম নবমী পালিত হবে।”
এদিন সভায় মোদীর আগে বলতে উঠে সুকান্ত মজুমদার রাজ্য বিজেপি সভাপতি ও বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী বলেন, “নরেন্দ্র মোদী ভৈরব হয়ে অযোধ্যায় রামলালাকে এনেছেন, ভৈরব যেভাবে মর্তে গঙ্গাকে এনেছেন।”
মোদী এদিন তাঁর গ্যারিন্টির প্রসঙ্গে রামমন্দির নির্মাণের প্রসঙ্গ সরাসরি উল্লেখ করে বলেন, “মোদীর গ্যারিন্টি হল গ্যারিন্টি পূরণের গ্যারিন্টি। আগামী ৫ বছরে তিন কোটি মানুষের বাড়ি তৈরী করে দেওয়া হবে। বাড়িতে সোলার পাওয়ার জেনারেশনের ব্যবস্থা করা হবে যাতে বিদ্যুৎ বিল শূন্য হয়ে যায়।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাম সরকারের সমালোচনা করে মোদী বলেন, “বাম এবং তৃণমূল সরকার রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কিছু করেনি। মোদীর উন্নয়ন যখন বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছবে তখন তৃণমূলের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে।”
নরেন্দ্র মোদী মমতা সরকারের সমালোচনা করে বলোন, “আদিবাসিদের নিজেদের মতো করে চলতে দেয় না তৃণমূল। বাংলায় উন্নয়নের জয় হবে। আজ সারা বাংলা বলছে, ৪ঠা জুন ৪০০ পার হবে। উন্নয়নের নামে বাংলায় আসবে বিজেপি। এই রাজ্যে সর্ব ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দুর্নীতি করেছে। চাকরি বিক্রি হয়েছে বহু টাকায়। তৃণমূল হচ্ছে দুর্নীতি, অপরাধী ও অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়স্থল। এই কারণেই তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের পাহারা দেয়।”
আগামী ১৯ এপ্রিল উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে প্রথম দফার ভোট। তার আগে তৃণমূল,বিজেপি উভয় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নরেন্দ্র মোদী জনসভা করলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা ও রোড শো করলেন এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করলেন দুপুর রোদে।