মহানগর ডেস্ক : রায়গঞ্জের নির্বাচনী সভা থেকে সুকুমার রায়ের চোর ধরা কবিতার লাইন “আরে ছি ছি রাম রাাম! বলো না হে বলো না, চলছে যা জুয়াচুরি নেই তার তুলনা!” উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তৃণমূলকে দুষলেন। বললেন, “তৃণমূল মানেই দুর্নীতি।”
মোদী এদিন বলেন, ‘‘বাংলায় দুর্নীতি, অপরাধ এখন ফুলটাইম ব্যবসা। এখানে কেন্দ্রীয় সংস্থার উপর প্রকাশ্যে হামলা হয়। এখানে রাজনৈতিক হত্যা হয়। বাংলার সব মানুষ বলছে, তৃণমূল মানে বিশ্বাসঘাতকতা, অত্যাচার, দুর্নীতি, পরিবারবাদ।’’
বাংলায় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘মমতাদিদির সরকারের আমলে বাংলায় মা-বোনেরা সুরক্ষিত নয়। দেবীর পুজো করে যে বাংলা, তাকে কোথায় পৌঁছে দিয়েছে তৃণমূল? সন্দেশখালির গুন্ডারা মহিলাদের উপর অত্যাচার করেছে। সেই অত্যাচারের অনুমতি কে দিয়েছিল? অন্য মহিলারা যখন নির্যাতিতাদের চোখের জল মুছতে গিয়েছিল, তখন তৃণমূল সরকার অনুমতি দেয়নি। এই তৃণমূলকে সাজা দেবেন তো? এদের সাজা দেবেন তো?’’
এদিন মোদী সিএএ নিয়েও কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলকে। রায়গঞ্জে তিনি বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব দেয় যে সিএএ, তার বিরোধিতা করছে তৃণমূল। তারা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। মিথ্যা প্রচার করছে। অথচ বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গাদের বাংলার ডেমোগ্রাফি এবং আইন ভাঙার অনুমতি দিয়ে রেখেছে। নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বৃদ্ধির জন্য বাংলার ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে।’’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘মোদী আগে বাংলায় এমস চালু করতে চেয়েছিল। বাংলার সরকার বলুক, আমাদের অনুমতি কেন নেওয়া হয়নি। ওরা উন্নয়ন করতে দিচ্ছে না। পিএম আবাস যোজনায় গরিবদের বদলে ঘর দেওয়া হয়েছে ভুল লোকদের। কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা দিয়েছিল। তৃণমূল সেই টাকাও খেয়ে নিচ্ছে। এই তৃণমূলকে কি ক্ষমা করা উচিত? বাংলার উন্নয়ন নিয়ে ওদের চিন্তা নেই। ওরা ইচ্ছা করে বাংলাকে গরিব বানিয়ে রাখতে চায়, যাতে ওদের কারবার ফুলেফেঁপে ওঠে। কে সুবিধা পাবে, সেটা আইন ঠিক করে না, এখানে তোলাবাজ, গুন্ডারা সব সিদ্ধান্ত নেয়।’’