মহানগর ডেস্ক: রাকুনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শেষ পর্যন্ত বাড়ি ছাড়লেন আমেরিকার ওয়াশিংটনের এক বাসিন্দা। সূত্রের খবর, ওয়াশিংটনের অন্যতম শহর পলসবোর বাসিন্দা এক মহিলা একদল রাকুনকে নিয়মিত খেতে দিতেন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার পাওয়ায় তারা তাদের অন্যান্য বন্ধুদেরও ওই মহিলার বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপরই শুরু হয় অত্যাচার। গোটা বাড়ি জুড়ে একপ্রকার তান্ডব চালাতে থাকে প্রাণীটি। শেষ পর্যন্ত কোনও পথ না পেয়ে নিজের বাসস্থান পরিত্যাগ করেন বাড়ির মালকিন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বেশ কয়েক বছর আগে ওই মহিলার বাড়িতে আগমন ঘটেছিল একদল রাকুনের। সেই সময় থেকেই প্রতিদিন তাদের নিয়মিত খাবার দিতেন তিনি। কাজেই জায়গাটি রাকুনদের নিরাপদ মনে হয়েছিল। এরপর থেকে তারা সেখানেই থাকতে শুরু করে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঠিকঠাক পরিমাণ খাবার পাওয়ায় মহিলার বাড়িকে নিজেদের আখড়া বানিয়ে নেয় বন্যপ্রাণী গুলি। ধীরে ধীরে খাবার পাওয়ার আশায় বাড়িটিতে বাড়তে থাকে রাকুনের সংখ্যা।
তবে বন্যপ্রাণী গুলি একজোট হলেও তাদের খাবারের যোগান দিয়ে উঠতে পারছিলেন না ওই মহিলা। ফলত, খাবারের চাহিদা বাড়তে থাকলেও না পাওয়ায় কার্যত তান্ডব শুরু করে রাকুনের দল। দীর্ঘদিন খাবার না পেয়ে ক্রমশ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছিল তারা। প্রতিদিন মহিলার বাড়িতে প্রায় 100 টি রাখুন ঘোরাফেরা করত। এদিকে কী করবেন তা বুঝে উঠতে না পেরে সব সময়ে ভয়ে ভয়ে থাকতেন ওই মহিলা। শেষ পর্যন্ত, পরিচিতদের পরামর্শে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে অন্যত্র চলে যান তিনি।
আরও পড়ুন: বিরাট দুর্ঘটনা! চোখের নিমেষে ভেঙে পড়ল বহুতলের একটি অংশ, ভিডিও দেখে আঁতকে উঠছেন সকলেই
সব মিলিয়ে, গোটা ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। যদিও এই প্রসঙ্গে, ওয়াশিংটন বন্যপ্রাণী বিভাগের এক আধিকারিক জানান, মাংসখেকো বন্য প্রাণীদের বাড়িতে ডেকে খাওয়ানো একেবারেই ঠিক হয়নি ওই মহিলার। এই কাজ বিপদজনক এবং সম্পূর্ণরূপে বেআইনি।