মহানগর ডেস্ক: সময় যত এগিয়েছে ইজরায়েলের ওপর আক্রমণ তত তীব্রতর হয়েছে। আগেই প্রায় 200 টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করে সেদেশের মাটিতে কম্পন ধরিয়েছিল ইরান। যার ফলে সামরিক বিমান ঘাঁটি থেকে শুরু করে তেল আবিব সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির খবর সামনে এসেছিল। এবার ইরানকে ঠেকাতে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশকে বাঁচাতে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী অস্ত্র ও সামরিক সেনা পাঠিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল বাইডেন।
গাজা যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ইজরায়েলকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা জুগিয়েছিল আমেরিকা। যদিও সেই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে ভোলেনি দেশেটির উচ্চ পদস্থরা। এবার সেই মার্কিন সহায়তায় যেন আরও নতুন মাত্রা যোগাল বাইডেন। সূত্রের খবর, ইরান সহ অন্যান্য শক্তিধর দেশগুলি ইজরায়েলের ওপর পরবর্তী হামলা চালানোর আগেই সেদেশে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী অস্ত্রশস্ত্র ও মার্কিন সেনা পাঠাচ্ছে আমেরিকা। সম্প্রতি পেন্টাগন প্রেস সচিবের বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিনের যৌথ উদ্যোগে ইজরায়েলে টার্মিনাল হাই অ্যাল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স ও সামরিক সেনা পাঠানো হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ Video Calling আরও উন্নত করতে লো-লাইট মোড নিয়ে এল WhatsApp, কীভাবে চালু করবেন?
উল্লেখ্য, ইজরায়েলের কাছে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা আয়রন ডোম সিস্টেম। যা গোটা বিশ্বের অন্যান্য সিস্টেমের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী এবং আধুনিক। তবে এবার সেই ব্যবস্থায় নতুন পালক যোগ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, যে দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা যত বেশি শক্তিশালী সেই দেশ ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে তত বেশি সক্ষম। শোনা যাচ্ছে, আমেরিকার আন্টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিবন্ধী ব্যবস্থা থাড সেই দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে। সূত্রের খবর, প্রায় 200 কিলোমিটার পর্যন্ত যেকোনও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এই মার্কিন সিস্টেমটির। কাজেই সেই সুবিধায় যে ইজরায়েল উপকৃত হবে এ কথা প্রায় নিশ্চিত।