মহানগর ডেস্ক : আজকের হাইটেক যুগে সবাই মোবাইল ছাড়া অচল। ছ সাত বছরের শিশু থেকে বৃদ্ধ। কেউই স্মার্টফোন ছাড়া এক পা এগোতো পারে না । স্কুলের অল্পবয়েসি পড়ুয়া, গৃহবধূ, চাকরিজীবী, ব্যস্ত বিজনেস টাইকুন-সবারই হাতে ছোট হোক, বড় হোক ফোন। সারা দুনিয়ার যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে মোবাইল। দামি থেকে কম দামি। প্রায় প্রতিদিনই নিত্য নতুন মডেলের ফোনও বেরোচ্ছে।
কিন্তু এই ছবির একেবারে উল্টোটা পাওয়া যাবে ইউরোপের আয়ারল্যান্ডের (City Of Ireland)গ্রে স্টোন শহরে। এখানকার অভিভাবকরা বাড়ির ছেলেমেয়েদের স্মার্ট ফোনে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন (No Smart Phone For Children)। ওই শহরের আটটি স্কুলের অভিভাবকরা ঠিক করেছেন ছেলেমেয়েদের হাতে স্মার্ট ফোন নৈব নৈব চ। কারণ স্মার্ট ফোনে তারা যাতে অশোভন কিছু না দেখে, সেজন্য সমস্ত অভিভাবকরা এককাট্টা হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
স্মার্ট ফোনে অশালীন ছবি বা বিষয় দেখার কারণে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। সেই উদ্বেগ
দূর করতে তাঁরা বাড়ির ছেলেমেয়েদের স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখার একমত হয়েছেন। এর আগে ওই এলাকার স্কুলগুলি স্কুলচত্বরে স্মার্ট ফোন ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ বা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু তারা লক্ষ্য করে স্মার্টফোন যাদের আছে, সেইসব পড়ুয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখায় কোনও খামতি নেই।
তাদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে কৌতূহল উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। এসব দেখে স্কুলগুলি কড়াভাবে পড়ুয়াদের স্মার্ট ফোন দেখা নিয়ে বিধি তৈরি করে। ফলে তারা নিজেদের ঘাড় থেকে দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলে অভিভাবকদের ওপর চাপিয়েছে। ওই বিধি স্বেচ্ছামূলক এবং আশা করা হচ্ছে অভিভাবকরা প্রাথমিকস্তরে শিশু পড়ুয়াদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেবেন না। তবে যথেষ্ট সংখ্যক অভিভাবক একজোট হয়েছেন এবং আশা করছেন এটি ভবিষ্যতে নয়া নিয়ম হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে।
জানা গিয়েছে এই উদ্যোগ গোটা আয়ারল্যান্ডে এবং বিদেশের অভিভাবকদের নজর কেড়েছে। গ্রে স্টোনের কাছে বসবাসকারী আয়ারল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিফেন ডোনেল্লি দেশ জুড়ে এই নীতি চালু করার সুপারিশ করেছেন। ডিজিটাল দুনিয়ার সঙ্গে ক্ষতিকর যোগাযোগ থেকে শিশু ও তরুণ প্রজন্মকে দূরে রাখার ওপর তিনি জোর দিয়েছেন।