মহানগর ডেস্ক: চিনের হয়ে প্রচারের জন্য বিপুল অঙ্কের তহবিল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নিউজ ক্লিক ওয়েব পোর্টালের (Search Against News Click Portal) একাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইউপিএ আইনের অধীনে দায়ের করা মামলায় নিউজ ক্লিকের একাধিক সাংবাদিকের বাসভবনে তল্লাশি চালাল পুলিশ।
সূত্রের খবর, মার্কিন সংবাদপত্র নিউ ইয়র্কের তদন্তে অভিযোগ করা হয় নিউজ পোর্টালটি চিনের হয়ে জোরালো প্রচার করার জন্য বিপুল অঙ্কের তহবিলের টাকা পেয়েছে-এমন অভিযোগের পরই দিল্লি পুলিশ সতেরো আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রুজু করে। এদিন দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের অফিসাররা দিল্লি-এনসিআর জুড়ে প্রায় চব্বিশটি জায়গায় হানা দেয়। তবে কারোকে গ্রেফতার করা হয়নি। কয়েকজন সাংবাদিককে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে তারা নিউজ ক্লিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। তারপর তাদের তহবিলের হদিশ পেতে অনুসন্ধান চালায়।
নিউজ এজেন্সির কিছু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। সূত্রের খবর, বিদেশি তহবিল ও তার অপব্যবহার নিয়ে অভিযোগে মামলাটি করা হয়।ইডির তথ্য মোতাবেক একটি নতুন দায়ের করা এফআইআর দায়ের করা হয়। কিছুদিন আগে ইডি অভিযোগ করেছিল নিউজ ক্লিক পোর্টালটি চিনের বিভিন্ন জায়গা থেকে আটত্রিশ কোটির কাছাকাছি টাকা পায়। সেই টাকা তারা কীভাবে ব্যবহার করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিউজ ক্লিক থেকে বেতন বা পারিশ্রমিক পেয়েছেন, তাঁদেরও বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এদিন যেসব সাংবাদিকের বাড়িতে হানা দিয়েছে স্পেশাল সেল, তাঁদের ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে স্পেশাল সেলের হানা দিয়ে আরও তথ্য পরে জানানো হবে। গত আগস্টে নিউ ইয়র্ক টাইমসের তদন্তে অভিযোগ করা হয়, মার্কিন কোটিপতি নেভিল রায় সিংহমের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, সেই নেটওয়ার্ক চিনের প্রচার চালাতে যাদের টাকা দিয়েছিল, নিউজ ক্লিক তাদের মধ্যে রয়েছে।
২০০১ সালে নিউজ ক্লিক ও তার তহবিলের সূত্র নিয়ে নজরদারি শুরু করেছিল দিল্লির ইকনোমিক অফেন্সেস উইং। সেসময় একটি মামলা করা হয়। তার ভিত্তিতে ইডি পরে মামলা করে। মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট নিউজ ক্লিকের পদাধিকারীদের সুরক্ষা কবচ নিশ্চিত করে। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।