মহানগর ডেস্ক: মানুষ হয়েও এমন অমানবিক ঘটনা মানুষ করে থাকে,যা দেখলে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়। বিশেষ করে পশুদের ওপর ব্যবহার। যে কুকুর প্রভুভক্ত বলে পরিচিত, সেই কুকুরদের প্রতি এমন নির্দয় ব্যবহার তামাম পশুপ্রেমীদের ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। এটি দক্ষিণ ভারতের কেরলের ঘটনা। সে রাজ্যের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে শুয়ে থাকা মা-কুকুরকে তার সদ্যোজাত ছটি বাচ্চার কাছ থেকে আলাদা করে একটা পা ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে একজন । তার আরেকটা হাতে ধরা একটা লাঠি। তারপর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারা হচ্ছে মা-কুকুরকে।
কেরলের কোল্লামে অমানবিক এমন দৃশ্যের ভিডিও টুইটারে শেয়ার করেছেন তারানা সিং নামে এক পশুপ্রেমী। এক পশুপ্রমীর বাড়িতে জোর করে মা কুকুরটিকে নিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। তারপরই তাকে মেরে ফেলা হয়। পশুদের ওপর নির্মম ঘটনা নিয়ে ওই পশুপ্রেমীর মন্তব্য, আমরা আমাদের চেতনা হারিয়ে ফেলেছি। হাড় কাঁপানো ঘটনাটির ভিডিও শেয়ার করে তারানা সিং আরও লিখেছেন কোল্লামে এক বৃদ্ধা মহিলা ও তাঁর নাতনি মা কুকুর এবং ছটি বাচ্চা কুকুরকে পুষছিলেন। তাঁর বাড়িতে জনা কয়েক সশস্ত্র লোক ঢুকে মা কুকুরটির একটি পা ধরে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
ফেলে রেখে যায় তার ছটি সদ্যোজাত শিশুকে। তারানা সিং আরও লিখেছেন কেরলকে ঈশ্বরের আপন দেশ বলে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে এই ঘটনার পর এই রাজ্যকে অতি সহজেই শয়তানের আপন দেশ বলা যেতে পারে। রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়ে এমন কথা লিখেছেন তিনি।
কোল্লামে কিছুদিন আগে রাস্তার কুকুরদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক বেড়ে যায়। অনেক পথচারীকে কামড়েও দেয়। সম্প্রতি একটি কুকুর একটি স্কুলের সামনে বাড়ি ফেরার সময় ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। অন্যদিকে কেরলের কান্নুরের এড্ডাক্ককডে এক বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন কিশোর কুকুরের হামলায় মারা যায়।
আরেকটি কিশোরকে কামড়ালেও সে বেঁচে যায়। এই ঘটনায় প্রবল ভীতি দেখা দেয় গোটা এলাকায়। এ মাসের শুরুর দিকে কেরলে রাস্তার কুকুরের হামলায় জখম হয় এক বালিকা। তারপর বিপজ্জনক কুকুরদের মেরে ফেলা নিয়ে একটি আবেদন সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে নোটিস জারি করে শীর্ষ আদালত।