HomeEducationযাদবপুরের নতুন উপাচার্য নাকি বিজেপি ঘনিষ্ঠ, নিয়োগের পরেই শুরু রাজনৈতিক তরজা

যাদবপুরের নতুন উপাচার্য নাকি বিজেপি ঘনিষ্ঠ, নিয়োগের পরেই শুরু রাজনৈতিক তরজা

বুদ্ধদেব সাউকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। যাকে  নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। এই উপাচার্য নাকি বিজেপিপন্থী। 

- Advertisement -

কলকাতা: প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর  রহস্য মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বিরাট চাপের মুখে। দেশের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্বেও সেখনাএ কোনো অভিভাবক ছিল না এতদিন। উপাচার্য ছাড়াই চলছিল বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্রমৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। এবার ছুটির দিন অর্থাৎ  রবিবার নতুন উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে রাজভবন থেকে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করার পরে এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। উপাচার্য কি কোনও দলের ঘনিষ্ঠ তাই নিয়ে চলছে চর্চা।

বুদ্ধদেব সাউকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। যাকে  নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। এই উপাচার্য নাকি বিজেপিপন্থী।   অভিযোগ এমনটাই। বিজেপিপন্থী অধ্যাপক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। এক সময় আবুটা, ওয়েবকুপার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের কথা প্রকাশ্যে আনেন।  বুদ্ধদেব সাউ উপাচার্য পদে আসীন হয়ে বলেন, “আমাকে একজন শিক্ষক এবং একজন মানুষ হিসাবে পরিচয় দিন না। কারণ মানুষ তো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে থাকে। আমি তো জুটাতেও ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষকদের সঙ্গে আমার পরিচয়। সেই পরিচয়টাই ভাল হত। এতে রাজনীতির রং না লাগানোই ভাল। আর এমন কি কোনও ব্যক্তি আছেন যিনি রাজনীতির ঊর্ধ্বে? তাই শিক্ষার মতো পবিত্র জায়গায় এসব এনে কলুষিত করার কোনও মানে নেই। তা সমাজকে ভাল বার্তা দেয় না।”

এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এমন একজনকে ভাইস চান্সেলার করা হল, তাঁর ১০ বছরের অভিজ্ঞতা নেই। যোগ্যতার মাপকাঠিতে পিছনে। তবে অন্য যোগ্যতা আছে। অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষক মহাসংঘের প্রেসিডেন্ট। মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের লোক খুঁজবেন, আর রাজ্যপাল বিজেপির লোক খুঁজবেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে কি রাজনীতির আখড়া করে ছাড়বেন?”

 

Most Popular