HomeHealthবাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা, CPR দেওয়ার প্রশিক্ষণ নিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা, CPR দেওয়ার প্রশিক্ষণ নিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

- Advertisement -

মহানগর ডেস্ক: দেশজুড়ে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। হার্ট অ্যাটাকে যাচ্ছে তাজা প্রাণও। গত তিন বছরে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। চিকিৎসকরা মনে করছেন সম্ভবত করোনার কারোনা দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের সঙ্গে এর লিঙ্ক রয়েছে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (NCRB) থেকে সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা গিয়েছে শুধুমাত্র ২০২২ সালে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ১২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই আবহে কোনও হার্ট অ্যাটাকে আক্রন্ত রোগীকে সিপিআর দিয়ে কিভাবে বাঁচানো যাবে সেই প্রশিক্ষণ নিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য।

আজ বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য  দিল্লিতে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (CPR) কৌশল নিয়ে দেশব্যাপী সচেতনতা প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। জীবন বাঁচানোর জন্য হাতে-কলমে এগিয়ে যাওয়া! গুরুত্বপূর্ণ CPR কৌশলের উপর দেশব্যাপী সচেতনতা প্রচারের সূচনা করেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও বেশ কয়েকজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক পোস্টে সিপিআর দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নেওয়ার একটি ভিডিও  শেয়ার করেছেন। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের প্রচেষ্টা হওয়া উচিত আমাদের হৃদয়কে সুস্থ রাখা, ভাল খাদ্য গ্রহণ করা। কিন্তু যখন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়, তখন সিপিআর এমন একটি সমাধান যার মাধ্যমে রোগীকে সময়মতো বাঁচানো যায়। যখন কেউ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। যে কোনও জায়গায়, এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে বাঁচানো যেতে পারে।” স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সিপিআর-এ ১০ লাখেরও বেশি লোককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সারাদেশে প্রচারণা শুরু হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, “আজ, সারা দেশে একযোগে ১০ লক্ষেরও বেশি লোককে সিপিআর-এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে যুবকদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের কারণে মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে, সরকার সিপিআর প্রশিক্ষণের জন্য একটি বিশেষ প্রচার শুরু করেছে।” সম্প্রতি, গুজরাটের শিক্ষামন্ত্রী কুবের দিন্দর বলেছেন যে গত ছয় মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে মোট ১০৫২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেছেন যে আক্রান্তদের প্রায় ৮০ শতাংশের বয়স  ১১ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে এবং তাদের স্থূলতার কোনও লক্ষণ ছিল না। মন্ত্রী আরও  বলেছেন এমার্জেন্সি সার্ভিস অ্যাম্বুলেন্স (108) প্রতিদিন ১৭৩টিরও বেশি  হার্ট অ্যাটাকের  খবর পাচ্ছে, যার মধ্যে তরুণরা সবচেয়ে বেশি  আক্রন্ত হচ্ছেন।

এনসিআরবি-র সর্বশেষ ‘ভারতে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু এবং আত্মহত্যা’ প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে ২০২২ সালে ৩২,৪৫৭ জন ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে  মারা গিয়েছেন । আগের বছরে রেকর্ড ছিল করা ২৮,৪১৩টি মৃত্যু।  ২০২২ সালে যা  উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই তথ্যটি  উদ্বেগজনক তাই  কারণগুলি বোঝার এবং মোকাবেলা করার জরুরী প্রয়োজনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

Most Popular