মহানগর ডেস্ক: হিংসায় জর্জরিত মণিপুর রাজ্যে আলোচনা এবং সাংবিধানিক উপায়ে শান্তি ফেরাতে প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে বিধানসভায়। তবে তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি উল্টে মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের চূড়াচাঁদপুর এবং বিষ্ণুপুর জেলার মাঝে কোইরেনটাক অঞ্চলের একটি কুকি অধ্যুষিত গ্রামে হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। পাল্টা গুলি চালায় গ্রামরক্ষী বাহিনীও। গুলির লড়াইয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে বলেই জানা গিয়েছে। এই নিয়েই নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে।
নিহত হয়েছেন ৩০ বছর বয়সী জংমিনলুন গ্যাংটে। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের চার জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চার জঙ্গিকে সনাক্ত করে বিবৃতি জারি করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তারা এনএসসিএন (IM) এবং পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) এর একজন করে বিদ্রোহী এবং ইম্ফল পূর্ব ও বিষ্ণুপুর জেলার কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি (KCP) (লামিয়ানবা খুমান দল) এর দুই ওভারগ্রাউন্ড কর্মী।
পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচটি প্রান্ত থেকে জেলাগুলির অবস্থা এখনও পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, সেখানে বর্তমানে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে এবং সেখানে অনুসন্ধানও চলছে। গত ২৭শে আগস্ট রবিবার কিছু অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের নিউ লাম্বুলান এলাকায় তিনটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। একই দিনে প্রাক্তন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ পরিচালকের বাসভবনে পাহারায় নিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মীদের কাছ থেকে তিনটি অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় কিছু দুষ্কৃতী। উল্লেখ্য, গত ৩ মে থেকে মণিপুর জুড়ে চলার জাতিগত বিদ্বেষ এবং সংঘর্ষে এখনো পর্যন্ত ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা শতাধিক। ঘরছাড়া বহু মানুষ।